চট্টগ্রামে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২১, ১০:০৮

প্রতীকী ছবি
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো বিরল মিউকরমাইকোসিসে (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) এক নারী আক্রান্ত হয়েছেন। করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হবার পর ষাটোর্ধ্ব ওই নারীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়।
বিরল ছত্রাকজনিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে গত চারদিন ধরে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ১৬নং ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গতকাল বুধবার (২৮ জুলাই) রাতে চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুযত পাল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে ওই নারী চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘উপসর্গ দেখে আমরা সন্দেহ করেছিলাম, ওই নারী মিউকরমাইকোসিস রোগে আক্রান্ত। আজ তার বায়োপসি রিপোর্টে এটি নিশ্চিত হয়েছি।’
গত ২৫ জুন থেকে জ্বরে আক্রান্ত হন ওইন নারী। চলতি মাসের ৩ জুলাই তার করোনা শনাক্ত হয়। ১৫ জুলাই করোনা নেগেটিভ হলেও তার নানা শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়। পরে স্বজনরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চমেকে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এই রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান চিকিৎসকরা।
আক্রান্ত ওই নারীর ছেলে মো. বেলাল হোসাইন বলেন, ‘পাঁচদিন আগে করোনায় আমি আব্বাকে হারিয়েছি। এখন আমার মা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার জন্য এমপোটেরিসিন-বি ইনজেকশনটি খুঁজছি। কিন্তু তা পাওয়া যাচ্ছে না। প্লিজ আপনারা এই ওষুধের সন্ধান দিন। যত টাকা লাগে আমরা দেব। আমার মাকে বাঁচাতে চাই।’
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে পাঠানো হবে।’
সিভিল সার্জন জানান, বিরল এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। তাই সরকারিভাবে আপাতত ইনজেকশন যোগান দেয়া সম্ভব নয়। তবে রোগী বাড়লে সরকারি নির্দেশনা আসতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, খুব কাছাকাছি দীর্ঘ সময় ধরে সংস্পর্শে না গেলে এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কম। মূলত কোভিড আক্রান্তদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এই রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি। -ইউএনবি