Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

বাংলাবাজার ঘাটে জনসমুদ্র

Icon

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২১, ১২:৪৮

বাংলাবাজার ঘাটে জনসমুদ্র

বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় ভিড় করছেন ঢাকামুখী হাজার হাজার শ্রমিক

আগামীকাল (১ আগস্ট) থেকে পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার খবরে বাংলাবাজার নৌরুটে হঠাৎ করে দেখা গেছে মানুষের ঢল। 

শনিবার (৩১ জুলাই) ভোর থেকেই দক্ষিণাঞ্চল থেকে আশা ঢাকামুখী হাজার হাজার যাত্রী ভিড় করছেন ঘাট এলাকায়। যাত্রীদের অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক। কঠোর বিধিনিষেধে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় তারা ফেরিতে করে পদ্মা পার হয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। তবে পোশাক শ্রমিকরা জানান কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে তবে কেন যাতায়াতের ব্যবস্থার জন্য পরিবহন ছাড়া হলো না।

বাংলাবাজার ফেরি ঘাট সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল থেকে পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার খবরে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় ভিড় করছেন ঢাকামুখী হাজার হাজার শ্রমিক। কঠোর বিধিনিষেধে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ তাই ফেরিতেই পার হচ্ছেন যাত্রীরা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ফেরিতে সাধারণ যাত্রী পারাপারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঠেকানো যাচ্ছেনা যাত্রীদের। জরুরি পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি ঘাটে আসা মাত্রই উঠে পড়ছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের চাপে ঘাটে পদ্মা পারের অপেক্ষায় ঢাকাগামী যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে। ঘাট এলাকায় বর্তমানে এই নৌপথে ৩টি রো রো ও ৫টি কে-টাইপের ফেরি নিয়ে মোট ৮টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাট এলাকায় কর্তব্যরত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।


এদিকে পদ্মায় তীব্র স্রোতে শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসতে প্রতিটি ফেরির নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যয় হচ্ছে। এতে ঘাটে এসে পারাপারের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা থাকতে হচ্ছে যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলে করে বাংলাবাজার ঘাটে আসছেন যাত্রীরা। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি ভাড়া।

বরিশাল মুলাদী থেকে ঢাকাগামী জুবায়ের নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিক বলেন, পরিবারের খাবারের তাগিদে করোনা  মধ্যেও ঢাকায় যাচ্ছি। না গেলে তো চাকরি থেকেও বাদ দিতে পারে কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া হাতে টাকা পয়সা নেই, কাজ করতে না পারলে বিপদে পড়ে যাব পরিবার নিয়া।

গৌরনদী থেকে আসা এক যাত্রী সাকিব জানান, পোশাক কারখানা খুলে দিলো কিন্তু পরিবহন কেন ছাড়লো না। আমি কোনমতে হেঁটে অটোরিকশা আবার হেঁটে বাংলাবাজার ঘাটে এসেছি। এখন ওপার গিয়ে কীভাবে যাবো চিন্তায় আছি। এরপর পুলিশ বিভিন্নস্থানে নামিয়ে হেঁটে যেতে বাধ্য করছে। কোন দেশে বাস করি বলেন?


খুলনা থেকে আসা ঢাকাগামী শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ যাবো। আমি একটি গার্মেন্টসে চাকরি করি। শুনেছি কাল থেকে খুলবে গার্মেন্টস।  ঈদের আগে ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছি। এভাবে আর কত দিন বাড়িতে বসে থাকব। টাকা পয়সা যা ছিলো তা সব শেষ এখন কাজ ছাড়া উপায় নাই।

বাংলাবাজার ফেরিঘাটে দায়িত্বরত নৌ-পুলিশের পরিদর্শক আবদুল রাজ্জাক বলেন, আজ সকাল থেকে যাত্রীর চাপ বেশি।  যাত্রীদের বেশিরভাগই শ্রমিক। মানুষকে কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না।  ঘাটে মোবাইল কোট ও পুলিশের জনবল কম থাকায় ফেরিতে আসা মাত্রই লাফঝাঁপ দিয়ে উঠে পড়েন যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, আমাদের ৮ টি ফেরি চালু রয়েছে। সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ রয়েছে, যানবাহনের সংখ্যা বেশি। পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া থেকে ফেরি আসতে দেড়ি হওয়ায় পারাপারে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।  

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫