Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের ৯৩ শতাংশই ডেল্টা

Icon

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২১, ১৭:০৪

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের ৯৩ শতাংশই ডেল্টা

করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিচ্ছেন এক নারী।

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ৯৩ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। বন্দরনগরী ও জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের জিনোম সিকোয়েন্স করে এমন তথ্য পেয়েছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)।

গবেষণায় জিনোম সিকোয়েন্স করতে সহায়তা করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ- বিসিএসআইআর।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সার্বিক নির্দেশনায় ও পােস্ট্রি রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টার (পিআরটিসি), সিভাসু এর আর্থিক সহায়তায় গবেষণাটি হয়েছে। গবেষক প্রফেসর ড, পৰ্বিতােষ কুমার বিশ্বাস, প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রনেশ দত্ত, ডা. মাে. সিরাজুল ইসলাম এবং ডা. তানভীর আহমদ নিজামী গবেষণা কাজে অংশ নেন।

১ থেকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে সার্চ-কভ-২ এর ৩০টি নমুনার পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স করে বিসিএসআইআর। ৩০টি নমুনার মধ্যে ২৮টিতেই করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে।

‘কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন’ শিরোনামে হয়েছে গবেষণাটি। যাদের নমুনা নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে তাদের বয়স ২১ থেকে ৭৪ বছরের মধ্যে। ৩০ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী। রোগীদের মধ্যে অর্ধেক গ্রামের, বাকি অর্ধেক শহরের বাসিন্দা।

বিসিএসআইআরের দুই গবেষক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খান ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোরশেদ হাসান সরকার এ গবেষণায় অংশগ্রহণ করেন।

জিনোম সিকোয়েন্সের ফলে দেখা গেছে, ৩০টি নমুনার মধ্যে ২৮টিতেই ভারতীয় ধরন বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। অর্থাৎ চট্টগ্রাম অঞ্চলের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের দেহে ৯৩ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

এই ধরনটিতে এখন দেশের মানুষ বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। অবশিষ্ট দুটি নমুনার মধ্যে একটিতে আলফা ভ্যারিয়েন্ট (ইউকে ভ্যারিয়েন্ট) পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য বিভিন্ন বয়সের আক্রান্ত রােগী থেকে নমুনাগুলো সংগৃহীত ছিল। এরমধ্যে পনেরটি নমুনা ছিল যাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। এর আগে চট্টগ্রাম অঞ্চলে আলফা (ইউকে ভ্যারিয়েন্ট) ও বিটা (সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট) ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি রিপাের্ট করা হয়েছিল। যদিও আলফা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি এখনাে আছে তবে তার শতকরা হার খুবই কম।

‘যে দুজনের নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়নি তাদের একজন মহানগর ও অন্যজন মফস্বল এলাকার। এর মানে দাঁড়ায় শহর ও গ্রামে সমানভাবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ হয়েছে। আবার এই ৩০ জন রোগীর মধ্যে ১২ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী ছিলেন। যে দুজনের নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি তারা দুজনেই পুরুষ।’

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে করোনাভাইরাসের চারটি ধরন পাওয়া গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে ভারতীয় ধরন বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের দেহেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫