টি-১৯আর মিউটেশনে আরো শক্তিশালী হচ্ছে ডেল্টা ধরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২১, ২০:৫২

অণুবিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এবার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। টি১৯আর (T19R) মিউটেশনের ফলে এ ধরণটি আরো শক্তিশালী হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অণুবিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল।
শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এ তথ্য জানান তিনি।
বিজন কুমার শীল বলেন, ‘ডেল্টা ধরনের ভয়াবহতার জন্য অন্যান্য মিউটেশনের (পর্যায়ক্রমে রুপান্তর) সঙ্গে টি-১৯আর (T19R) মিউটেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
তিনি বলেন, ‘ডেল্টা ধরনের সঙ্গে ফ্লু ভাইরাসের যথেষ্ট মিল রয়েছে। এটি খুব দ্রুত ছড়ায়। ফলে পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে বাকি সবাই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ধরনে কেউ আক্রান্ত হলে, তার আশপাশের সবাইকে পরীক্ষা করতে হবে। হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই কাপড় বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে।
অনুবিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল বলেন, ‘আক্রান্তের পর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসা নিতে হবে। ডেল্টার চিকিৎসার মতো ওষুধ বিশ্ববাজারে আছে। এছাড়া জিংকের সমন্বয়ে তৈরি ভিটামিন সি গ্রহণের মাধ্যমে ডেল্টা ধরন প্রতিরোধ সম্ভব। সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও এ ধরনের ভিটামিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে অনুমোদন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।’
এ সময় মাস্ক পরিধান ও ভ্যাকসিন গ্রহণের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লায়লা পারভীন বানু এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. বিজন কুমার শীল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
ওয়েবিনারে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম ভাইরোলজিস্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরী, পিএইচসির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জাকির হোসেন, বিএসএমএমইউর ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান, আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মোস্তাক হোসেন প্রমুখ।