
সুপ্রিম কোর্ট ভবন।
স্ত্রী হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কনডেম সেলে বন্দি ছিলেন বাগেরহাটের সাহেব আলী ফকির। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তাকে খালাসের রায় দেন। তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকলে অবিলম্বে মুক্তি দিতে বলা হয়।
রবিবার (৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রায় দেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট এসএম আমিনুল ইসলাম।
শিউলী বেগমকে বিষ দিয়ে হত্যার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৮ নভেম্বরে তার স্বামী বাগেরহাট জেলার মোলারহাট থানার আডুয়াদিঘী গ্রামের সাহেব আলী ও তার তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই দিনই সাহেব আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ মামলায় নিম্ন আদালত ২০১০ সালের ১৫ জুন সাহেব আলী ফকিরকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আর খালাস দেন অপর তিন আসামিকে।
এরপর সাহেব আলীর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। আর সাহেব আলীও হাইকোর্টে আপিল করেন।
আপিল শুনানি শেষে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ২০১৫ সালের ৫ জুলাই রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন কনডেম সেলে বন্দি সাহেব আলী। সবশেষ শুনানি শেষে তাকে খালাস দিয়ে রায় দেন আপিল বিভাগ।
ওই মামলার বাদী নিহতের বাবা আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছিলেন, পুলিশ তাকে মামলা করতে বাধ্য করেছে। আর আসামি ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, পুলিশ তাকে নির্যাতন করে জবানবন্দিতে বাধ্য করেছে।
এছাড়া নিহতের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্যাতনের কোনো চিহ্ন নেই। ভিকটিম আত্মহত্যা করেছে বলে প্রতীয়মান হয়। এসব বিবেচনায় নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সাহেব আলীকে খালাস দেন।