
ফাইল ছবি।
সিলেটের জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। সোমবার (৯ আগস্ট) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) এই গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে।
এই গ্যাসক্ষেত্রেে উত্তোলনযোগ্য মজুদ ৫ হাজার কোটি ঘনফুট। এর মাধ্যমে ১০ থেকে ১২ বছর গ্যাস উত্তোলন সম্ভব। গ্রিডে যুক্ত হবে দৈনিক এক কোটি ঘনফুট গ্যাস।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, এ গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। এখানে মোট ৬৮ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে। এর মূল্য প্রায় ১২০০ কোটি টাকা। এটি দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র।
এখানে পাইপলাইন নির্মাণ হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটা হতে দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগবে। নতুন এ গ্যাসক্ষেত্র বাপেক্সের বড় ধরনের সফলতা
নসরুল হামিদ বলেন, বাপেক্স এখন সম্ভাবনার জায়গা তৈরি করতে পেরেছে। তারা আধুনিক চিন্তাভাবনা করছে। সিলেট গ্যাসফিল্ডে আরও ১০টি ড্রিলিংয়ের প্রস্তুতি নিয়েছে। পাবর্ত্য চট্টগ্রামে সার্ভে ও নতুন করে ড্রিলিংয়ের জন্য নতুনভাবে কাজ শুরু করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জকিগঞ্জে আরও তিনটি স্থানে কাজ করছি। সেসব স্থানেও গ্যাস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, আজ ৯ আগস্ট জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসে এটা অনেক বড় উপহার। এই ৯ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র ক্রয়ের মধ্য দিয়ে দেশের রাষ্ট্রীয় গ্যাসক্ষেত্রের যাত্রা শুরু হয়। সেই যাত্রায় সাড়ে চার মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে তিনি কিনেছিলেন। সেই সময়ে দূরদর্শী ও সাহসিকতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দেখিয়েছেন। সেই গ্যাসক্ষেত্র থেকে এখনো আমরা গ্যাস নিচ্ছি।
তিনি বলেন, এখন দেশে যে জিডিপি গ্রোথ দেখছেন, যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তৈরি হয়েছে, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ যে উন্নত দেশের দিকে যাচ্ছে, তার পেছনে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। এবার এ খাতে অর্জন ১০৫ শতাংশ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় আসে সেসময় প্রাপ্তি ছিল এক হাজার ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস, বর্তমানে আড়াই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাই। বলা যেতে পারে প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বর্তমান সরকারের সময়ে আমাদের পাইপ লাইনে সংযোগ হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, করোনার মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সর্বোচ্চ সেবা অব্যাহত রয়েছে। সামনে বড় চ্যালেঞ্জ টেকসই জ্বালানি নিশ্চিত করা।