
রাঙামাটিতে গবাদিপশুর সংখ্যা বেড়েছে
পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও শূকরের সংখ্যা বেড়েছে। মানুষের মধ্যে গবাদিপশু পালনের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। তাই আগের তুলনায় গবাদিপশু বেড়েছে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, গবাদিপশুর সংখ্যার চেয়ে গুণগতমান বাড়ানোই মূল্য লক্ষ্য ছিল তাদের।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গবাদিপশুর বার্ষিক পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাঙামাটিতে মোট গরু ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ১১৭টি, মহিষ ১৪ হাজার ৯৬টি, ছাগল ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৯০টি, ভেড়া ১ হাজার ৪৭টি ও শূকর ছিল ৯৪ হাজার ৭৫৪টি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট গরুর সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৪টি, মহিষের সংখ্যা ১৫ হাজার, ছাগলের সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার, ভেড়ার সংখ্যা ১ হাজার ৫৪০ ও শূকরের সংখ্যা ১ লাখ ৩ হাজার ১৯৮টিতে দাঁড়িয়েছে। সে হিসাবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সব গবাদিপশুর সংখ্যা বেড়েছে। এর মধ্যে জেলায় গবাদিপশু গরুর সংখ্যা লংগদু উপজেলাতেই বেশি। এই উপজেলায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গরু ছিল ২৩ হাজার ২১৮টি; ২০১৯-২০ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ১১২টিতে। আবার ছাগলের সংখ্যা বেশি দেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা বাঘাইছড়িতে। এই উপজেলায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছাগলের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ১৭টি; ২০১৯-২০ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৫০০ টিতে।
রাঙামাটি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বরুন কুমার দত্ত জানান, প্রাণিসম্পদ দফতরের বার্ষিক পরিসংখ্যা ছকপত্রের হিসাবে রাঙামাটি জেলায় গবাদিপশুর সংখ্যা বেড়েছে। আমাদের লক্ষ্য কেবল গবাদিপশুর সংখ্যা বাড়ানো নয়, মূল লক্ষ্য ছিল গুণগত মান বাড়ানো। গবাদিপশুর গুণগত বাড়াতে প্রাণিসম্পদ দফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করছেন।