গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:৪৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
দেশের উন্নয়নে গণতন্ত্রকে আরো শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৬ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে সরকার দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও বাণীতে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র, সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সপরিবারে জাতির পিতার হত্যার বিচারের রায় আমরা কার্যকর করেছি। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধীদের বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে। আদালত ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় প্রদান করেছে। কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের সত্য ও ন্যায় এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দিনটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারের পতন হয়। এ মহান দিবসে গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী সংগ্রামী দেশবাসীকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
’৯০ পরবর্তী দুই দশকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পরবর্তীকালে অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। তারা জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করে। দেশে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোট ও মৌলিক অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘ সংগ্রাম করি। এ আন্দোলন-সংগ্রামে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। নুর হোসেন, বাবুল, ফাত্তাহ, ডা. মিলনসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষ আত্মাহুতি দেন। গণআন্দোলনের চাপে স্বৈরাচারী শাসক ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়। শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় গণতন্ত্র।
দেশবাসীর এই স্বতঃপ্রণোদিত ত্যাগ ও অধিকার রক্ষায় আপোসহীনতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী দেশপ্রেমিক শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন। বাসস