বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক শরীফ ইমরানের জিম্মায় থাকা দুই শিশু সন্তানকে আগামী ৩১ আগস্ট উচ্চ আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

শিশুদের মা জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকোর করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।

নাবালিকা দুই মেয়েকে ফিরে পেতে ওই নারী বাংলাদেশে এসে হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদন করেছেন। আজ আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি আবেদনটি জমা দিয়েছেন। তাতে সন্তানদের জিম্মায় নেয়ার নির্দেশনা চেয়েছেন তিনি।

এরিকো (৪৬) পেশায় চিকিৎসক। চলতি বছরের ১৮ জুলাই তিনি বাংলাদেশে আসেন। এরিকোর সাথে ২০০৮ সালে শরীফ ইমরানের (৫৮) জাপানি আইন অনুযায়ী বিয়ে হয়। টোকিওতে বাসবাস শুরু করেন। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে— জেসমিন মালিকা (১১), মাকানো লাইলা লিনা (৯) ও সানিয়া হেনা (৬)। এরা তিনজনই টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে- শরীফ ইমরান বর্তমানে ঢাকার আদাবর থানাধীন মোহাম্মদীয়া হাউসিং সোসাইটিতে বসবাস করছেন। তিনি নাবালিকা দুই কন্যাকে নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন।

জাপানের আদালতে এ বছরের ১৮ জানুয়ারি শরীফ ইমরান এরিকোর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের (ডিভোর্স) আবেদন করেন।  কিন্তু নির্ধারিত শুনানির তারিখে ইমরান আদালতে হাজির হননি। ইমরান ২১ ফেব্রুয়ারি তার দুই কন্যা জেসমিন মালিকা ও মাকানো লাইলা লিনাকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। এরিকো তার দুই সন্তানকে আদালতে হাজির করার আবেদন করেছেন।

আবেদনে তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, শরীফ ইমরান তার কন্যাদের নিয়ে এসে এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়রানি করেছেন।

আইনি প্রতিকারের আশায় হাইকোর্টে দুই মেয়ের জিম্মা চেয়ে রিট দায়ের করেন জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো। রিট আবেদনে দুই শিশুকে তাদের মা এরিকোর জিম্মায় দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।