পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা
পদ্মা সেতুর পিলার রক্ষায় নতুন উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২১, ২০:২৪

সম্প্রতি পদ্মা সেতুর বিভিন্ন পিলারে একাধিক ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেছে। গত ২০ জুলাই পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের সঙ্গে ফেরি শাহ মখদুমের ধাক্কা লাগে। এরপর ২৩ জুলাই মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরি শাহজালাল ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দিলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ১০ নম্বর পিলারে সজোরে ধাক্কা খায়। এসব ঘটনায় সেতুর পিলারের পানির লাগোয়া অংশে পাইল ক্যাপ বা পলেস্তারা উঠে গেছে। সবশেষ গত ১৩ আগস্ট সকালে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে কাকলি ফেরি ধাক্কা দেয়।
এসব ঘটনার পর নিজেদের ফেরিতে রাবারের আস্তর লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
এর আগে সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে সেতুর পিলারে রাবারের আস্তর লাগানোর প্রস্তাব দেয় বিআইডব্লিউটিসির একটি তদন্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আপাতত বাংলাবাজার শিমুলিয়া রুটে চলাচলকারী পাঁচ ফেরির সামনে ও পেছনে রাবারের আস্তর (ফেন্ডার) লাগানো হবে। এ জন্য আমরা ই-টেন্ডার আহ্বান করব।
এদিকে বারবার পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কার ঘটনায় ফেরির মাস্টারদের অবহেলাকে দায়ী করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
নির্ধারিত রুট অনুসরণ না করায় পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সচিব বলেন, পদ্মাতে হঠাৎ করে এমন কারেন্ট (স্রোত) সৃস্টি হয়, যে ওই সমেয় কারো পক্ষে ফেরি কন্ট্রোল করা সম্ভব না। অনেক সময় মাস্টাররা নির্দিষ্ট রুট ফলো করেন না। তিনটি ঘটনা ঘটেছে রুট ফলো না করার কারণে। তিনটি ফেরিই উজানে না গিয়ে ক্রস এসেছিলেন। এ জন্য তিনটি ঘটনা ঘটেছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সেতুর পিলারের মাঝে ১৫০ মিটার ফাঁকা স্থান রয়েছে। পাইল ক্যাপ বাদ দিয়েও ১৩০ মিটার থাকে। ফেরি হলো মাত্র ১৫ মিটার। ৬-৭টি ফেরি চলাচল করলেও ধাক্কা খাওয়ার কোনো কারণ নেই। এজন্য আমরা সবাই বসে রুট ঠিক করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, রুট ঠিক করে দেয়ার পরও তিনটি ঘটনায় চালকের নেগলিজেন্সি (অবহেলা) ছিল, যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন (ব্যবস্থা) নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, তীব্র স্রোতের কারণে মাঝেমধ্যে দুই-তিন দিন করে ফেরি পারাপার বন্ধ থাকে। উজানে খুব বেশি বৃষ্টি হলে ফেরি বন্ধ থাকে, তখন কিছুই করার থাকে না। ছোট গাড়ি নিয়ে ফেরি যাচ্ছে। ১৮টি ফেরির মধ্যে ৭টি ফেরি চলতে পারছে।