অ্যাভোকাডো ফলটি দেখতে অনেকটা আমের মতো। খেতেও বেশ সুস্বাদু। আবার এটি অনেক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। বিদেশি এই ফলে রয়েছে ভিটামিন সি, মিনারেল, শর্করা, খনিজ পদার্থ ও প্রোটিন। অ্যাভোকাডো ফল চাষে সাফল্য পেয়েছে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টার। 

হর্টিকালচার সেন্টার অফিস থেকে জানা যায়, আফ্রিকান দেশে মূলত এই অ্যাভোকাডো ফলের চাষ হয়। আর এই অ্যাভোকাডো ফলের চাহিদা রয়েছে পৃথিবীজুড়ে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে হর্টিকালচার সেন্টারগুলোতে এই ধরনের অ্যাভোকাডোসহ অন্যান্য উচ্চমূলের যেসব ফল বা ফসল রয়েছে, সেগুলোর বিকাশ সাধনে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। 

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে স্যারদের কাছে এই অ্যাভোকাডো ফলের নাম শুনেছি। এটিকে বয়স ধরে রাখার ফল বলা হয়। এটিকে বাটার ফলও বলা হয়ে থাকে। এতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। 

মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ মো. রকনুজ্জামান বলেন, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই অ্যাভোকাডো ফলের গায়ের রঙ অনেকটা আমের মতো। গাঢ় সবুজ দেখায়। ফলটি যখন পেকে যায়, তখন ভেতরের অংশ অনেকটা মাখনের মতো দেখতে হয়। আমরা হর্টিকালচার সেন্টারের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসসহ বাসাবাড়ির ছাদে এই ফলের চারা রোপণ করার পরামর্শ দিয়ে আসছি।