হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের রঘুনন্দন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত পানছড়ি। এ পাহাড়ি এলাকার পরিত্যক্ত জ্বালানি কাঠ বিক্রি করেও পানছড়ি আশ্রয়ণের অর্ধশতাধিক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। 

স্থানীয় সুন্দর আলী বলেন, পরিবারের জীবিকা নির্বাহে এ পেশা বেছে নিয়েছি। এ কাজে অনেক পরিশ্রম। তবে হালাল রোজগারের আনন্দ আছে। তাই আমি পরিশ্রমের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছি। 

তিনি আরও জানান, তার ন্যায় এ আশ্রয়ণের অর্ধশতাধিক পরিবার পাহাড়ি পরিত্যক্ত কাঠ সংগ্রহ করছেন। এসব বিক্রি করে তারা সবাই হালাল জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। 

ক্রেতা জয়নাল মিয়া বলেন, পানছড়ি এলাকার পরিত্যক্ত জ্বালানি কাঠ (লাকড়ি) ভালো। দাম হাতের নাগালে। তাই নিয়মিত এখানের কাঠ ক্রয় করছি। আমার মতো অনেকেই এখানের কাঠ (লাকড়ি) ক্রয় করছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিত্যক্ত কাঠ সংগ্রহকারী অনেকেই মতামত ব্যক্ত করে জানান, এ পেশায় কঠোর পরিশ্রম। তাই তারা অন্য পেশায় কাজ করতে চান। তবে অন্য পেশায় কাজ করতে অর্থের প্রয়োজন। এ জন্য তারা সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন। 

প্রায় ৫০ একর পাহাড়ি জমিতে ২০০০ সালে পানছড়ি আশ্রয়ণকেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়। ৫০টি ব্যারাকে বিভিন্ন স্থানের অসহায় দরিদ্র ৫০০ ভূমিহীন পরিবারকে এখানে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রত্যেক পরিবারকে সমবায় বিভাগের মাধ্যমে সমিতি গঠন করে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হয়। এরপর থেকে এখানের বাসিন্দারা জ্বালানি কাঠ (লাকড়ি), সবজি চাষ, গাড়ি চালকসহ বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন।