রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় পলাতক লে. কর্নেল (বরখাস্ত) শহীদ উদ্দিন খান ও তার স্ত্রী ফারজানা আঞ্জুম খানের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাভোগের আদেশ দেন বিচারক। একইসাথে পলাতক আসামি শহীদ উদ্দিন খান ও তার স্ত্রী ফারজানার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় খোরশেদ আলম পাটোয়ারী ও সৈয়দ আকিদুল আলীকে খালাস দেন আদালত। 

আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফছা ঝুমার আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় শহীদ উদ্দিন খানের বাসায় অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল, ছয়টি গুলি, দুটি শটগান ও ৩ লাখ জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব কিশোর শীল বাদী হয়ে শহীদ উদ্দিন খানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা নৃপেন কুমার ভৌমিক ২১ জনকে সাক্ষী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সরকার ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্র সাথে যুক্ত ছিলেন।

এর আগে ২৬ আগস্ট মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আজকের দিন (১ সেপ্টেম্বর) নির্ধারণ করেন।