‘বজ্রপাতে মৃত্যুহার কমাতে সরকার কাজ করছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:০২

প্রতীকী ছবি
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তাই বজ্রপাতের মতো দুর্যোগে মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশবাসীকে আগাম সতর্কবার্তা দিতে দেশের আটটি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ যন্ত্র বা লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর স্থাপন করা হয়েছে। এটি সফল হলে জনসমাগম হয় এমন আরো বেশিসংখ্যক স্থানে লাইটনিং এরেস্টার বা বজ্র নিরোধক দ্রুত স্থাপন করা হবে।
তাছাড়া সরকার বজ্রপাতে যেখানে মৃত্যুর হার বেশি সেসব অঞ্চলে বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী ।
ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে গতকাল শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বজ্রপাত’ বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ২০১৫ সাল থেকে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনদিন বজ্রপাতের পরিমাণ বাড়ছে এবং এতে হতাহতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। তাই ভবিষ্যতে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার আরো কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বজ্রপাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে আমাদের কিছু উপায় বের করতে হবে। যেমন- প্রথমেই বজ্রপাতের পূর্বাভাসেরর উন্নতি সাধন করতে হবে। বজ্রপাতের অন্তত ২০ মিনিট পূর্বে আবহাওয়া অধিদফতর জানতে পারবে কোন কোন এলাকায় বজ্রপাত হবে। তা সবাইকে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং মোবাইল ফোনে জানানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আব্দুল ওয়াহহাব। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বিভাগ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা সেমিনারে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।