‘বাংলাদেশ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিবে’

প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:২৬
বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার উদ্বোধনী করছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা করার আবশ্যকতা রয়েছে উল্লেখ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিতে বাংলাদেশ একদিন পৃথিবীতে শান্তির সংস্কৃতি সৃষ্টি করবে এবং বিশ্বময় শান্তি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিবে।
এজন্য প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধকে সংস্কৃতির প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেই বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে। বিশ্ব ব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতির বিস্তার ঘটাতে হবে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা মুক্ত দিবসে মুজিববর্ষকে সামনে রেখে পৌর সাধারণ পাঠাগারে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী মুক্তাগাছা মুক্তদিবসে বিজয় র্যালি, আলোচনা সভা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। পরে মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে মুক্তাগাছার ৬টি রাস্তার নামকরণের ফলক উন্মোচন করেন।
প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ মুক্তাগাছা মুক্ত দিবসের আলোচনায় রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি সব জায়গা থেকে রাজাকারের চরিত্র বিনাশের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও সভ্য রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি নিশ্চিত করে বিশ্বে মানবকল্যাণ ও শান্তির আলোকবর্তিকা জ্বালাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ দৃঢ়ভাবে অনুসরণ ছাড়া আমাদের সামনে অন্য কোনো পথ খোলা নেই।
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক পথেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ, পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম, উপজেল নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা সরকার, ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরব আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুর্শিদা আক্তার কাকলী, পৌর সাধারণ পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।