মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সমস্যাটি আন্তর্জাতিক আদালতে আনার মতো বিষয় নয়। মিয়ানমার যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে তা গাম্বিয়ার উপলব্ধি করা উচিত।

নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) যুক্তি দিতে গিয়ে দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি এ কথা বলেন।

সুচি দাবি করেন, সেনা সদস্যরা যুদ্ধাপরাধ করে থাকলে তা মিয়ানমারের দেশীয় তদন্ত ও বিচার ব্যবস্থায় নিষ্পত্তি করা হবে। এটিকে আর্ন্তজাতিকীকরণের সুযোগ নেই। ১৯৪৮ এর গণহত্যা সনদ এখানে প্রযোজ্য নয়।

তিনি বলেন, ক্লিয়ারেন্স অপারেশনকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুধুমাত্র সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলার প্রশ্নে ব্যবহৃত হয়েছে।

তিনি আরাকানে মুসলিমদের ইতিহাস তুলে দরে তিনি সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে সংঘাতের ফল হিসেবে অভিহিত করেন। কয়েকশত মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকতে পরে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ তদন্ত ও বিচার ব্যবস্থা কাজ করছে। বিদ্রোহীরা নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা করেছে। তারা সাধারণ জনগণের ওপরও হামলা চালিয়েছে। সেসব কথা গতকাল কোনো বক্তা উল্লেখ করেননি।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বিদ্রোহীরা তিনটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা করেছিলো উল্লেখ করে সুচি আরো বলেন, সামরিক বাহিনী সেসব হামলার তদন্ত করেছে। সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য অপরাধ করেছে তাদের শাস্তি দেয়া হয়েছে।

গণহত্যা একটি অপরাধ এবং গণহত্যা কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার প্রথম সারিতে রয়েছে বলে আদালতকে জানান তিনি।

আজ বুধবার বিকাল ৩টায় শুরু হয় শুনানি। গতকাল অভিযোগ উত্থাপন করেছে গাম্বিয়া।

শুনানির শেষ দিনে (১২ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় দেড় ঘণ্টা বলার সুযোগ পাবে গাম্বিয়া এবং বিরতির পর রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে দেড় ঘণ্টা বলবে মিয়ানমার।

গণহত্যার মামলার শুনানিতে মিয়ানমারের পক্ষে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডসে অবস্থান করছেন দেশটির সুচি। আর গাম্বিয়ার পক্ষে মামলায় অংশ নিচ্ছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু।