
রাইড শেয়ারিং চালকরা আজ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। ফাইল ছবি
মাত্রাতিরিক্ত কমিশন ও পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানিবন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে অ্যাপভিত্তিক মোটরগাড়ি চালকদের সংগঠন ড্রাইভারস ইউনিয়ন অব বাংলাদেশ (ডিআরডিইউ)।
আজ মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
গতকাল সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অ্যাপে যাত্রী বহন করা এক বাইকার তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে এই কর্মসূচির ডাক দেয় সংগঠনটি।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ বলেন, আমাদের কর্মবিরতি গতকাল দিনগত রাত ১২টা থেকে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। আজ সকাল ১০টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে শান্তিপূর্ণ এক মানববন্ধন কর্মসূচিও অনুষ্ঠিত হবে। মানববন্ধনে সব দাবি তুলে ধরা হবে।
ধর্মঘট ডাকার বিষয়ে তিনি বলেন, কোথাও গাড়ি ব্রেক করলে সেখানেই ট্রাফিক পুলিশ ধরে ফেলে। তাই আমরা স্থায়ী সমাধান হিসেবে রাইড শেয়ারিংয়ের যানবাহন রাখার জায়গা নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, মোবাইল অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিংয়ের সঙ্গে আমরা যারা যুক্ত, তারা কোম্পানিগুলোর কাছে দীর্ঘদিন ধরেই বেশকিছু দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোম্পানিগুলো আমলে নিচ্ছে না। তাই এবার আমরা সরকারের কাছে ছয়টি দাবির বিষয় জানাচ্ছি। কোম্পানির পক্ষ থেকে আমাদের একমাত্র সুবিধা হচ্ছে আমরা রাইড শেয়ারিংয়ের জন্য তাদের অ্যাপ ব্যবহার করছি। তারা ২৫ শতাংশ চার্জ কেটে নিচ্ছে।
বাড্ডায় এক রাইড শেয়ারিং চালকের নিজ বাইকে আগুন দেয়া প্রসঙ্গে বেলাল আহমেদ বলেন, বাড্ডার ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। হয়রানির জন্য একজন চালক তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা কয়েক দফা জানিয়েছি, কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠান আমাদের দাবি গ্রহণ করেনি। আমরা ষষ্ঠবারের মতো আন্দোলনে যাচ্ছি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করব, কোনো সহিংসতায় আমরা বিশ্বাসী না।
চালকরা তাদের ছয়টি দাবি নিয়ে একটি ভার্চুয়াল লিফলেট তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে প্রচার চালাচ্ছেন।
দাবিগুলো হলো :
১. অ্যাপনির্ভর শ্রমিকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিন, কর্ম ও সময়ের মূল্য দিন;
২. সব ধরনের রাইডে কমিশন ১০ শতাংশ নির্ধারণ করুন, মিথ্যা অজুহাতে কর্মহীন করা থেকে বিরত থাকুন;
৩. ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে রাইড শেয়ারিংয়ের যানবাহন দাঁড়ানোর জায়গা করে দিন;
৪. সব ধরনের পুলিশি হয়রানি বন্ধ করুন;
৫. তালিকাভুক্ত রাইড শেয়ারকারী যানবাহনগুলোকে গণপরিবহনের আওতায় অ্যাডভান্সড ইনকাম ট্যাক্স (এআইটি) মুক্ত রাখুন;
৬. গত বছর গ্রহণ করা সব এআইটি তালিকাভুক্ত যানবাহন মালিকদের ফিরিয়ে দিন।