ক্লিনফিড দেয়া ২৪ বিদেশি চ্যানেল প্রচারে বাধা নেই : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২১, ১৫:৩৬

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্লিনফিড দেয়া বিদেশি ২৪ চ্যানেল চালাতে কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে গ্রহণ করা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন আপনারা, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত, সরকার কোনও চ্যানেল বন্ধ করেনি। করতেও বলেনি। সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্লিনফিডে চ্যানেল সম্প্রচারিত হয়। বাংলাদেশেও এটি করতে হবে।
আজ সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু বলেছিলাম যে, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যা পৃথিবীর সব দেশেই আছে। যে আইন ইউরোপ, আমেরিকাসহ বহু দেশেই বলবৎ। এমনকি নেপালের মতো দেশেও সেই আইন বলবৎ। সেটি হচ্ছে বিদেশি চ্যানেলকে অবশ্যই বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার করতে হবে ও সেটি ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, আমেরিকাসহ সব জায়গায়ই মানা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে মানা হচ্ছিল না।
তিনি বলেন, কাজেই এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনও সুযোগ নেই। এ নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াবে, সরকারকে বিব্রত করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আইনটি মানার জন্য দুই বছর ধরে তাগাদা দেয়া হচ্ছিল। সব পক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। এক মাসের বেশি সময় আগে বৈঠক করে আমাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছিল, ১ অক্টোবর থেকে আমরা আইনটি কার্যকর করব। বৈঠকে টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সম্প্রচার জার্নালিস্ট ফোরাম, ক্যাবল অপারেটর, ডিস্ট্রিবিউটররা ছিলেন। সেই সভায় সিদ্ধান্ত ছিল ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর করা হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
হাসান মাহমুদ বলেন, ক্লিনফিড নিয়ে একটি মহল থেকে বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমি আশা করব তারা বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকবে। সরকার আইন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। জনগণের স্বার্থে, মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে, শিল্পী-কলাকুশলী, সাংবাদিক সবার স্বার্থে এ আইন কার্যকর করেছি। সুতরাং সবার স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ অবস্থান নেবে সেটি কাম্য নয়। সর্বোপরি দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে সেটি কাম্য নয়।
তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি বিদেশি যে সব চ্যানেল ক্লিনফিড দিচ্ছে, আমি গতকাল ১৭টি চ্যানেলের কথা বলেছিলাম। আসলে ১৭টি নয়, ২৪টির বেশি চ্যানেল। ২৪টির বেশি চ্যানেল বাংলাদেশে ক্লিনফিড দেয়, সুতরাং এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। আকাশ ডিটিএইচ এগুলো চালাচ্ছে। অন্যদেরও এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এ বিষয়ে কোনো পত্রের প্রয়োজন হলে আমরা তা ক্যাবল অপারেটরদের কাছে পাঠাবো। যদি এরপরও কেউ এগুলো না চালায় তাহলে লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ হবে। সুতরাং শর্তভঙ্গের কাজ কেউ করবেন না।
এর আগে অ্যাটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, ইকবাল সোবহান চৌধুরী ক্লিনফিড বাস্তবায়নের জন্য তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।