
চৌমুহনী পৌরসভায় ১৪৪ ধারা চলছে। ছবি : সংগৃহীত
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনী পৌরসভায় সংঘর্ষের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা চলছে।
আজ শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চৌমুহনী পৌরসভায় ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজ সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে দেখা যায়, ১৪৪ ধারা জারির কারণে জেলার বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনীতে কার্যত অঘোষিত হরতাল চলছে। চৌমুহনী বাজারের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সাধারণ লোকজনের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামসুন নাহার বলেন, শনিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় জনসাধারণের জানমাল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এ সময়ের মধ্যে পৌর এলাকায় কোথাও কোনও ধরনের সভা-সমাবেশ বা গণজমায়েত করা যাবে না। নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার নানুয়ার দিঘিরপাড় পূজা মণ্ডপে সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলার জের ধরে গতকাল শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) ডিবি রোডে অবস্থিত শ্রীকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও রামকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারসহ বিভিন্ন দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব পাপ্পু সাহা বলেন, সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলার জের ধরে মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি দাবি করেন হামলায় যতন সাহা নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ এমরান জানান, শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলার জেরে চৌমুহনী বাজারে মিছিল বের হয়। এক পর্যায়ে চৌমুহনী বাজারের ইসকন মন্দির, শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর মন্দির, রাধামাধব মন্দির ও বিজয়া দুর্গা মণ্ডপসহ বিভিন্ন দুর্গা মণ্ডপে হামলার চেষ্টা হয়। এসময় পুলিশ বাঁধা দিলে, বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল মারা শুরু হয়।