
গদাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছবি : ইউএনবি
কুমিল্লা নগরীর নানুয়াদিঘীর পাড়ের একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার (২৪ অক্টোবর) পুলিশ সদরদফতর মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
রাত ১০টার দিকে সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে পূজামণ্ডপের হনুমানের মূর্তির হাত থেকে নিয়ে যাওয়া গদাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পুলিশের একটি দল নগরীর দারোগাবাড়ী মাজারের পাশের চৌধুরী ভিলার প্রাচীরের ভেতর থেকে গদাটি উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ।
জানা যায়, সেদিন রাতে গদাটি হনুমানের হাত থেকে নিয়ে ইকবাল হোসেন দারোগাবাড়ী মাজারের কাছে আসে। তারপর সেটি মাজারের পুকুরে ফেলে দেয়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত গদাটি পানিতে না ডুবলে সেটি তুলে এনে পাশের চৌধুরী ভিলার প্রাচীরের ভেতরে ছুড়ে ফেলেন ইকবাল। ইকবালকে নিয়ে অভিযানে রাতে ওই বাড়ির প্রাচীরের ভেতর থেকেই গদাটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার ইকবালসহ চারজন শনিবার থেকে সাতদিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে। অপর আসামিরা হচ্ছেন- ঘটনার দিন সকালে পুলিশকে ৯৯৯ এ ফোন করা রেজাউল ইসলাম ইকরাম, দারোগা বাড়ি মাজার মসজিদের সহকারী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহ।
ঘটনার দিন গত ১৩ অক্টোবর কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা ও অবমাননার করার অপরাধে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। -ইউএনবি