নোয়াখালীর সহিংসতা
কমলের জবানবন্দিতে ‘বুলুসহ ১৫ নেতার নাম’

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২১, ১১:৩৭

ছবি : সংগৃহীত
নোয়াখালীর চৌমুহনী উপজেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ‘উসকানি’ দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফয়সাল ইনাম কমল ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে ‘বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতার সম্পৃক্ততার তথ্য’ এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাঈদীন নাঁহীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন কমল।
জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কমলকে সোমবার রাতে জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাঈদীন নাঁহীর আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে ফয়সাল ইনাম কমল সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার উসকানিদাতা হিসেবে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি বরকত উল্লা বুলুসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তাকে বেগমগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আদালতে পাঠানো হয়। পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দুর্গাপূজার অষ্টমীতে কুমিল্লার একটি মণ্ডপে ‘কোরআন অবমাননার’ কথিত অভিযোগ তুলে সহিংসতা শুরুর পর তা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কক্সবাজার, ফেনী, রংপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
নোয়াখালীর ঘটনায় মোট ২৬টি মামলা হয়; গ্রেফতার করা হয় প্রায় ২০০ জনকে। এর মধ্যে ফয়সাল ইনাম কমলসহ বিএনপি-জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে উসকানি দেয়ার অভিযোগে রবিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজুল্লাহপুর গ্রামের আবু হানিফের ছেলে ফয়সাল ইনাম কমলকে (৩৯) ওই ঘটনার ‘অন্যতম উসকানিদাতা ও ইন্ধনদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ওই মামলায়।