রংপুরে পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যু : পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২১, ১৫:২৪

ফাইল ছবি
রংপুরের হারাগাছ থানা পুলিশের নির্যাতনে যুবক তাজুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে খবর নিয়ে আগামীকাল বুধবার (৩ নভেম্বর) আদালতকে জানাতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্তকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ওই ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদ নজরে আনা হলে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়া আগামীকাল এ বিষয়ের ওপর বিস্তারিত শুনানি ও আদেশের দিনও ধার্য করেছেন আদালত।
এ ঘটনায় আজ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি সংবাদ হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চান ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
পরে তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি আদালতের নজরে এনেছি। এ ঘটনার পুরো বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) সঙ্গে কথা বলে খবর নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে আগামীকাল বুধবার (৩ নভেম্বর) বিস্তারিত শুনানি হবে।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত জানান, তিনি ঘটনার পুরো বিষয় নিয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে আগামীকাল তা আদালতকে জানাবেন।
গতকাল তাজুল ইসলাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটকের পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হারাগাছ থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। সেসময় ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়ি। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
তাজুল হারাগাছ পৌর এলাকার দালাল হাট নয়াটারী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, হারাগাছ থানা পুলিশ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হারাগাছ পৌর এলাকার নতুন বাজার বছিবানিয়ার তেপথি মোড়ে অভিযানে যায়। সেখানে তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটকের পর মারধর করে পুলিশ। পুলিশের মারধরে তিনি জ্ঞান হারান। পুলিশ তাকে ধাক্কা দিলে পাশে দেয়ালে আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এর প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে ভাঙচুর চালায় এলাকাবাসী। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
পিটিয়ে হত্যার অভিযোগের ব্যাপারে কাউনিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা তারিন বলেন, তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। তাকে পুলিশ ধরতে গিয়েছিল। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মরদেহের সুরতহালের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
হারাগাছ থানার (ওসি) শওকত আলী সরকার বলেন, তাজুল হেরোইন সেবন করছিলেন এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযানে গিয়েছিল। আটকের পর তাকে হাতকড়া পরানো হয়। কিন্তু কাপড় নষ্ট করে ফেলায় পুলিশ তাজুলকে স্থানীয়দের জিম্মায় দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর কিছুক্ষণ পর খবর আসে যে তিনি মারা গেছেন।