ফাইল চুরির ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২১, ১৯:৩৩

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল চুরির ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল চুরির ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। এ ব্যাপারে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার আমরা নিয়েছি। আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্ত পরবর্তীতেও আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
গত ৩০ অক্টোবর জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি ফাইল গায়েব হয়েছে। তাতে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে মন্ত্রণালয়। জিডিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৭টি ফাইল ছিল স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া কক্ষে। সে কক্ষে বসেন ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁট মুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর মো. জোসেফ সরদার ও আয়েশা সিদ্দিকা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জিডিতে বলা হয়, গত ২৭ অক্টোবর অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। যে নথিগুলো গায়েব হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজসহ অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের কেনাকাটা-সংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডেটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, নিপোর্ট অধিদপ্তরের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয়-সংক্রান্ত নথি। আর এগুলোর বেশিরভাগই বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটার সঙ্গে সর্ম্পকিত।
সেইসঙ্গে সেখানে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের নথি রয়েছে।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. শাহাদাৎ হোসাইন।
ফাইল গায়েবের ঘটনায় গত ৩১ অক্টোবর বিভাগটির তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় সিআইডি। এদিকে, আজ ২ নভেম্বর ফাইল গায়েবের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঠিকাদার নাসিমুল ইসলাম গণি টোটনকে রাজশাহী থেকে ঢাকায় এনেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল।