
ভাড়া তুলছেন বাসের হেলপার। ছবি: মেহেনাজ খান
ডিজেল ও কোরোসিনের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ৬০ ঘণ্টার ধর্মঘট শেষে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। বর্ধিত ভাড়া কার্যকরের প্রথম দিনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। এমনকি যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহণ শ্রমিকদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক থেকে হাতাহাতির মতো ঘটনাও ঘটছে। এদিকে ভাড়া বাড়ানোর কঠোর সমালোচনা করেছেন নগর পরিবহন বিশেষজ্ঞ, বিশিষ্টজন, ভোক্তা অধিকার সংগঠন ও যাত্রী অধিকার রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্নিষ্টরা।
তাদের দাবি, সিদ্ধান্তটি একতরফা। বরাবরের মতো যাত্রীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবারও পরিবহন মালিকদের অন্যায্য চাপ মেনে নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের স্বার্থ গুরুত্ব পায়নি। সরকারের কিছু কর্মকর্তার হঠকারিতায় ডিজেলের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে জনগণকে এই দুর্ভোগের কবলে পড়তে হয়েছে।
সকালে অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা খন্দকার আব্দুল মতিন সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমি সরকারি অফিসার গত তিন দিন ধরে অনেক ভাড়া দিয়ে অফিস এ যাতায়াত করেছি। আজ মগবাজার থেকে মোহাম্মদপুর যাওয়া পথে বাসে উঠে শুনি ভাড়া ১০ টাকা বেড়ে গেছে।
অফিসগামী আরেক যাত্রী মনির হোসেন জানান, গুলিস্তান থেকে উত্তরায় বাস ভাড়া গতকাল পর্যন্ত দিয়েছেন ৩৫ টাকা আজ সেই ভাড়া নিচ্ছে ৫০ টাকা। ১৫ টাকা বাস ভাড়া বৃদ্ধির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন,আমাদের তো বেতন বাড়ছে না। প্রতি মাসে এই ভাড়া কত গিয়ে দাড়ায়। আমাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই।
এদিকে যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধূরী এ ভাড়া প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সরকারে এই সিদ্ধান্তে যাত্রীদের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। সরকার একচেটিয়াভাবে পরিবহন মালিকদের মতামতের ভিত্তিতে ভাড়া বেড়েছে। আমরা এ ধরনের ভাড়া বৃদ্ধিতে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।