অপহৃত আমিনুরের মরদেহ কপোতাক্ষ নদ থেকে উদ্ধার

খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২১, ১১:৩৭

আমিনুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার আগড়ঘাটা বাজার এলাকায় অপহৃত আমিনুর রহমানের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে আগড়ঘাটা বাজারের অপর প্রান্ত শাহজাতপুরের দিকের কপোতাক্ষ নদে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তাকবীর হুসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কপিলমুনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাওসার আলী জোয়াদ্দার জানান, আমিনুলকে যেখানে মেরে নদীতে ফেলা হয় তার প্রায় এক হাজার ফুট দূরে কপোতাক্ষ নদে মরদেহ পাওয়া যায়।
এর আগে খুলনার পাইকগাছায় মুক্তিপণের দাবিতে কলেজছাত্র আমিনুরকে অপহরণের পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) নিহতের বাবা সুরমান গাজী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। হত্যাকাণ্ডের পর গত তিনদিন ধরে কপোতাক্ষ নদে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে আজ তার মরদেহ উদ্ধার করল পুলিশ।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার একমাত্র আসামি ফয়সাল খুনের বর্ণনা করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন ওই আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান।
আমিনুর উপজেলার কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আটক ফয়সাল সরকার পাইকগাছার গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে।
এর আগে গত রবিবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমিনুরকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় ফয়সাল। বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাইকগাছা উপজেলার আড়ংঘাটা বাজারের পাশে কপোতাক্ষ নদের তীরে যান তারা। প্রথমে ঘুমের বড়ি মিশ্রিত জুস খাওয়ানো হয় আমিনুলকে। এরপর তারা উভয়ে একসাথে সিগারেট সেবন করে। আমিনুরের জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা হলে দা দিয়ে গলায় ও ঘাড়ে কুপিয়ে জখম করে নদীতে ফেলে দেয় ফয়সাল।
আমিনুরের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে ওইদিন রাত ১০ টার দিকে তার বাবা সুরমান গাজীর কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। এসময় মুক্তিপণের টাকা পাইকগাছা ব্রিজের নিচে রাখতে বলা হয়। এরপর সুরমান তার কথামত দাবির কিছু টাকা নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দূর থেকে লোক দিয়ে নিরীক্ষণ করেন। পরে ফয়সাল টাকা নিয়ে ফেরার সময় আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়।
তার দেয়া তথ্য মতে, কপোতাক্ষ পাড়ে গিয়ে রক্তের দাগ পাওয়া গেলেও সেদিন মরদেহ পাওয়া যায়নি।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল জানায়, তার প্রেমিকার মোটরসাইকেল কেনার আবদার রক্ষা করতে তিনি আমিনুরকে অপহরণ করে তার বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি করে।