
ছবি: সংগৃহীত
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লিতে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাদী থমাস হেমব্রমের নারাজির আবেদনের উপর শুনানি শেষে অধিকতর তদন্তের জন্য ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পার্থ ভদ্র শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী থমাস হেমব্রম চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। আদালত পিটিশন আমলে নিয়ে প্রথমে গত ৪ নভেম্বর শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। পরে দ্বিতীয় দফায় ২৩ ডিসেম্বর শুনিনির দিন নির্ধারণ করা হয়।
সিআইডিকে মামলার অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু। তিনি বলেন, ‘হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল ১১ আসামিকে বাদ দিয়ে পিবিআইয়ের দেওয়া পক্ষপাতিত্বমূলক চার্জশিটের বিরুদ্ধে বাদীর পক্ষে আদালতে নারাজি পিটিশন দেওয়া হয়। শুনানি শেষে অতিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।’
২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ চিনিকলের বাণিজ্যিক খামারে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিন সাঁওতাল নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হন। সাঁওতালদের পক্ষে ২৬ নভেম্বর থোমাস হেমব্রম বাদী হয়ে সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বুলবুল আহম্মেদসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা করেন।
পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে গাইবান্ধার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটি তদন্ত করে। পিবিআই চলতি বছরের ২৩ জুলাই শাকিল আহম্মেদসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলার বাদী থোমাস হেমব্রম আদালতে দেওয়া পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। গত ৪ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ বিচারিক হাকিম পার্থ ভদ্রের আদালতে সেই আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত আজ শুনানি ও আদেশের দিন তারিখ ধার্য করেন।