
সুগন্ধা নদী
সাধারণত বর্ষা মৌসুমে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে; কিন্তু ঝালকাঠিতে শীতেও সুগন্ধা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। আর এতে জেলার নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের সরই গ্রামটির বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হতে চলেছে।
স্থানীয়রা জানান, বরিশাল-খুলনা নৌরুটের ঝালকাঠি অংশে এলপি গ্যাস বহনকারী জাহাজের ঢেউয়ের চাপে শাখা নদীগুলোও ভাঙছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন বা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন এবং দ্রুতগতির নৌযানের ঢেউয়ের কারণে ক্ষতির শিকার হয় নদীর তীর।
কুলকাঠি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য বেল্লাল হোসেন মোল্লা বলেন, ভাঙনের কারণে আমার অনেক স্বজন তাদের বাপ-দাদার বাড়ির চিহ্নটুকু রাখতে পারেনি। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এবং আমাদের সংসদ সদস্যকে অবগত করেছি; কিন্তু হচ্ছে-হবে বলে আজ পর্যন্ত ভাঙন রোধে কোনো সুরাহা হয়নি।
এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, স্কুল-মাদ্রাসা, বাজার এবং অনেক বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন বলেন, সরই গ্রামটি আমরা পরিদর্শন করেছি। ওখানে আমাদের প্রাথমিক জরিপ করা হয়েছে। এর পরে একটি ডিজাইন ডাটা প্রেরণ করব। ডিজাইন ডাটা পেলে ওখানে ডিপিপি কার্যক্রম শুরু করা হবে। ডিপিপি কার্যক্রম অনুমোদন পেলে আমরা ওখানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব।