
ফাইল ছবি
নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নে এইচএসসি (১৯) পরীক্ষার্থীর মুখে এসিড নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছে।
রবিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল সোয়া পাঁচটায় ডাঙ্গাপাড়া বাজার-সংলগ্ন রাস্তার পাশে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী চলতি বছর রাজশাহী সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
এসিড নিক্ষেপকারীদের মধ্যে এক যুবকের নাম মো. মুহিন। তিনি ওই ইউনিয়নের দত্তপড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। মুহিনের সহযোগীদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তাদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
জানা যায়, এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওই পরীক্ষার্থী। তাকে প্রায়ই বিরক্ত করতেন স্থানীয় যুবক মুহিন ও তার সহযোগীরা। রবিবার বিকেলে ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে ফেরার সময় মুহিন তার দুই সহযোগীকে নিয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে তার পথরোধ করেন।
এ সময় বোতলে থাকা এসিড দিয়ে ছাত্রীর মুখ ঝলসে দেন মুহিন। ছাত্রী চিৎকার করলে তারা দ্রুত পালিয়ে যান ঘটনাস্থল থেকে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারকে খবর দেয়। পরিবার তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
রামেক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (ইএমও) আবদুল কাদির জানান, ভুক্তভোগীর পুরো মুখ এসিডে ঝলসে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি নেওয়া হয়েছে।
পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
ওই ছাত্রীর চাচাতো ভাই মামুন (ছদ্মনাম) জানান, সে একজন মেধাবী ছাত্রী। সামনেই তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। সে পরীক্ষার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিল। যুবকরা বেশ কয়েক দিন ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করছিল। আজ তার জীবনটা শেষ করে দিলো।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ এসিড নিক্ষেপকারীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে। তবে পরিবারের সদস্যরা ভুক্তভোগীকে নিয়ে হাসপাতালে অবস্থান করায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। এসিড নিক্ষেপকারীদের ধরতে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।