কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি শাহ আলম (২৮) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। 

গতকাল বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার চানপুর গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শাহ আলম কুমিল্লা নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত জানু মিয়া ছেলে। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি ৭.৬৫ পিস্তল, গুলি ও কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়। 

কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় একদল সন্ত্রাসী অবস্থান করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাত দেড়টার দিকে ওই এলাকায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। সন্ত্রাসীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে তারা পলিয়ে যায়। 

তিনি বলেন, পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের দুইজন সদস্য আহত হন। তাদের পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ওই হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

প্রসঙ্গত, গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা। 

কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। হরিপদ নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও পাঁচজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।