গাজীপুরে দুই শিশু কন্যাকে হত্যার পর মায়ের আত্নহত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ নিহত দুই শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে এবং মাকে অজ্ঞান অবস্থায় মাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

গতকাল শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগরের পশ্চিম জয়দেবপুর মোক্তারটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃত শিশুরা হলো- চার বছর বয়সী তাসনিহা জাহান তারিহা ও ৭ মাস বয়সী তাসমিম জাহান বুশরা। তারা কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার বড় আলমপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। তাদের মা লিজা আক্তার। বিল্লাল গাজীপুরে বাসা ভাড়া থেকে ভবন নির্মাণের সয়েল টেস্টের মিস্ত্রির কাজ করতেন।

বিল্লাল জানান, তিন মাস আগে ওই এলাকার নাসরিন মঞ্জিলের সামসুল হকের তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়ায় ওঠেন তারা। দুদিন আগে বিল্লাল তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা থেকে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন। শনিবার সন্ধ্যার কিছু পর বিল্লাল শিশুদের খাবার আনার জন্য দোকানে যান। বাসায় এসে ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করা দেখেন।

তিনি আরও বলেন, অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়িওয়ালা ও আশপাশের লোকদের ডাক দিলে তারা ভবনের বাইরে দিয়ে গিয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পান তিনজন বিছানায় পড়ে আছে। পরে তারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুই শিশুকে মৃত অবস্থায় এবং তাদের মাকে অজ্ঞান অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। 

স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) জাকির হাসান জানান, লিজা মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন বলে তার স্বামী বিল্লাল জানিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।