Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

মনোরঞ্জন হাজংয়ের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:২৪

মনোরঞ্জন হাজংয়ের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন

মানববন্ধনে বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল

রাজধানীতে গাড়ির ধাক্কায় মনোরঞ্জন হাজংয়ের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর শাহবাগে আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক অলিক মৃর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংহতি জানায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, হাজং স্টুডেন্ট কাউন্সিল ও হাজং ছাত্র সংগঠন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মনোরঞ্জন ও মহুয়া হাজংয়ের এই ঘটনা ‘সীমাহীন অবিচারের’ একটি বড় নমুনা।

আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক অলিক মৃ বলেন, বাংলাদেশ সব মানুষের হয়নি। তার প্রমাণ হচ্ছে ১৭ দিন আগের ভয়ংকর ঘটনাটি। সার্জেন্ট মহুয়া হাজং একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে রাষ্ট্রের সেবা করছেন। তাঁর বাবা মনোরঞ্জন হাজং বিজিবির সদস্য হিসেবে সীমান্ত রক্ষা করে রাষ্ট্রের সেবা করেছেন। এমন একটি ঘটনার শিকার হলেও তাঁদের মামলা নিতে গড়িমসি করা হয়েছে।

আদিবাসী যুব ফোরামের সভাপতি অনন্ত ধামাই বলেন, ‘আমরা কোথায় আছি? এ রকম সীমাহীন অবিচার বাংলাদেশে দেখতে হবে? তাঁরা প্রান্তিক হাজং জনগোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার জন্য কি এই অবস্থা, নাকি একজন বিচারপতি রাষ্ট্রক্ষমতার ওপরের ভাগে থাকেন বলে এই অবস্থা? এই কাঠামোগত বৈষম্যের মধ্য দিয়ে প্রান্তিক মানুষের বিচারের জায়গাটি বন্ধ করা হচ্ছে।

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বাংলাদেশে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। এটি আমাদের জন্য দুঃখ ও লজ্জার। বিচার পেতে হলে জনগণকে জাগতে হবে।

উল্লেখ্য গত ২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের চেয়ারম্যানবাড়ী এলাকায় ইউটার্নে একটি দ্রুতগতির বিএমডব্লিউ গাড়ির ধাক্কায় আহত হন মনোরঞ্জন হাজং। পরে তাঁকে প্রথমে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার করে তাঁর ডান পা কেটে ফেলা হয়। এরপর তাঁকে বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মনোরঞ্জন হাজং এখন রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাবার এ দুর্ঘটনার জন্য সার্জেন্ট মহুয়া থানায় মামলা করতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে দুই সপ্তাহ পর ১৬ ডিসেম্বর মামলা নিতে বাধ্য হয় বনানী থানা-পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করা হয়। তবে এর দুই দিন আগেই গুরুতর আহত মনোরঞ্জন হাজংকে দায়ী করে অভিযুক্ত গাড়িচালক সাঈদ হাসান থানায় একটি জিডি করেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫