Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

বাস্তবায়ন হচ্ছে মাস্টার প্ল্যান

বদলে যাচ্ছে আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র

Icon

সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:৪৬

বদলে যাচ্ছে আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র

পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা

খাগড়াছড়ির প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা। দীর্ঘ দিন জেলার এই প্রধান পর্যটন ‘আকর্ষণ’ অবহেলিত থাকলেও, তা এবার বদলাতে শুরু করেছে। খাগড়াছড়ি শহর থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরের এই পর্যটনকেন্দ্রকে পর্যটনবান্ধব করতে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আলুটিলার উন্নয়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে মাস্টার প্ল্যান। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হওয়ার পর এটি পর্যটকদের কাছে আরও আর্কষণী হয়ে উঠবে।  

জানা যায়, ১৯৮৩ সালে খাগড়াছড়ি জেলা ঘোষণার পর পর্যটন কেন্দ্রটির দায়িত্ব নেয় জেলা প্রশাসন। এখানকার রহস্যময় প্রাকৃতিক গুহা পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ। দেশের অন্যতম দীর্ঘ প্রাকৃতিক এই গুহা ঘিরে পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও, তা অবহেলিত ছিল। এখানে আসা পর্যটকরা কেবল গুহা দেখলেও পর্যটনবান্ধব তেমন কোন স্থাপনা ছিল না। কেবল গুহা দেখে পর্যটকরা ফিরে যেত। তবে বর্তমানে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র করে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে নির্মিত হয়েছ ভিউপয়েন্ট কুঞ্জছায়া, প্রবেশমুখে নির্মাণ করা স্বর্ণ তোরণ। কুঞ্জছায়া থেকে পাখির চোখে দেখা মিলবে নয়নাভিরাম খাগড়াছড়ি শহর, দূরের পর্বত শ্রেণি। বৃষ্টির সময় মেঘ এসে ছুঁয়ে যায় পর্যটকদের। মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে নির্মাণ হচ্ছে- ঝুলন্ত ব্রিজ, নন্দনকানন পার্ক, এমপি থিয়েটার ও খুমপুই রেস্ট হাউস। 

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আলুটিলা জেলার প্রধান পর্যটন আর্কষণ । তবে এটি সম্ভাবনা অনুযায়ী তেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমি এখানে পর্যটনের উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে সেভাবে কাজও এগিয়ে যাচ্ছে । কয়েক কোটির টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। পাহাড়ের যে ধরণের স্থাপত্যশৈলী দেখা যায়, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই দৃষ্টিনন্দন তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছে। 

খাগড়াছড়ির আলুটিলায় বেড়াতে আসা পর্যটক ইমরান, ফয়সাল, জনি জানান, ‘এখানে প্রাকৃতিক গুহা দেখতে আসলাম। এরপর পুরো পর্যটন কেন্দ্রটি ঘুরেছি। অনেকে স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে আলুটিলা আরও আকর্ষণীয় হবে।’

খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইউনিট ইনচার্জ এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, ‘আলুটিলাকে ঘিরে ম্যাউন্টেন ট্যুরিজমের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দীর্ঘ দিন পর হলেও আলুটিলাকে ঘিরে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে পাহাড়ের পর্যটন অর্থনীতি আরও বিকশিত হবে।’

জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস আরও জানান, ‘খাগড়াছড়ির অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত পর্যটন। এ খাতের সঙ্গে অনেক মানুষ সম্পৃক্ত। পর্যটনের উন্নয়নে আমরা আলুটিলাকে প্রাধান্য দিয়েছি। এখানে দিনে অন্তত ১ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেন। তাই আলুটিলাকে পর্যটকবান্ধব করার জন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা করছি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫