Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

সরকারি খাল ভরাট

মামলা করলেন কৃষকরা

Icon

আশিক বিন রহিম, চাঁদপুর

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫:২৬

মামলা করলেন কৃষকরা

চাঁদপুর জেলার মানচিত্র

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার দ্বাদশ ইউনিয়নের চেঙ্গাতলী বাজারে কালভার্টসহ একটি সরকারি খাল ভরাট করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে বর্তমানে ওই গ্রামের প্রায় ২০০ একর ফসলি জমি পানিবন্দি হয়ে আছে। এতে করে এ বছর মওশুমে ফসল আবাদ করতে পারছেন না স্থানীয় কয়েকশ’ কৃষক। সরকারি খাল এবং কৃষি জমির ফসল বাঁচাতে ওই গ্রামের শতাধিক কৃষক গণস্বাক্ষর করে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার দ্বাদশ ইউনিয়নের চেঙ্গাতলী বাজার সংলগ্ন দেওদ্রোন গ্রামের মতলব-চৌমুহনী (বজরী খাল) খালের পাশে প্রায় ২০০ একর কৃষি জমি রয়েছে। এতে ওই গ্রামের প্রায় দুই আড়াইশ’ কৃষক পরিবার দীর্ঘদিন যাবৎ আলু, ধান, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে আসছেন। 

দ্বাদশ ইউনিয়নের দেওদ্রোন গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক, হানিফ বকাউল, বোরহান উদ্দিন, জাহাঙ্গীরসহ একাধিক কৃষক জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে মতলব চৌমুহনী খালের পাশে থাকা কৃষি জমিতে আলু, ধান, ভুট্টা, গমসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে আসছে। এসব ফসল চাষ করতে গিয়ে আমরা আমাদের কৃষিজমিতে পানি উত্তোলন এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য এই খালটিই ব্যবহার করতাম; কিন্তু শাহাজাহান হাজি কালভার্টসহ সরকারি এই খালটি বালু দিয়ে ভরাট করার কারণে আমরা সবাই অনেক বিপাকে পড়েছি।

খাল ভরাটকারী অভিযুক্ত শাহাজাহান হাজির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার এখানে কোনো খাল নেই। আমার সব দিক বন্ধ, আমি কী করব এখন। তিনি আরও বলেন, আমার উত্তর-দক্ষিণ সবদিকেই অনেকে বিল্ডিং করেছেন তাই কালভার্টের মুখসহ জমি ভরাট করা হয়েছে। তারপরেও এখন যদি সবাই খালের জায়গা দেয় কিংবা সরকার চায় তাহলে আমিও তা দেব।

স্থানীয় চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বকাউল জানান, খালটি খননের জন্য সরকারি বরাদ্দও এসেছিল; কিন্তু গুটিকয়েক লোকের জন্য খালটি খনন করা সম্ভব হয়নি। ইউনিয়নের খালটি পুনরায় খনন হলে স্থানীয় কৃষকদের অনেক উপকার হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫