ভারসাম্যহীন মা-বাবার সম্পত্তি দখল, তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ২২:২৩

হাইকোর্ট
রাজধানীর আাগারগাঁওয়ে ভারসাম্যহীন মা-বাবার সম্পত্তি জালিয়াতি করে দখলের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে সিআইডি, দুদক ও বিএফআইইউকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি সংস্থাগুলোকে হাইকোর্টের এ আদেশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত শুরু ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রতিবেদন নজরে আনার পর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে রুলসহ এসব আদেশ দেন।
সংবাদ প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন ব্যুরো অব হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাভোকেট ড. মো. শাহজাহান। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) একটি জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। ‘জালিয়াতি করে ভারসাম্যহীন বাবা-মার শত কোটি টাকার সম্পত্তি দখল’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘সহোদর বোনদের বঞ্চিত করার জন্য জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁও হোল্ডিংসের মিসেস আক্তারজাহান নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধা ও তার অসুস্থ স্বামীর প্রায় শত কোটি টাকা মূল্যমানের জায়গা-জমি দখল করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে নিজের সন্তানদের বিরুদ্ধে।’
‘জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ মারাত্মক ব্রেইনস্ট্রোকের শিকার হন আক্তারজাহান নামের ওই নারী। এরপর থেকে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে তিনি এখন মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি নিজের স্বামী-সন্তান তথা আত্মীয়-স্বজনদের নাম-ধাম পর্যন্ত ঠিকভাবে বলতে পারেন না। এ অবস্থায় রাজধানী ঢাকা শহরের ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসের কমিশন কর্মচারী, ভেন্ডার ও প্রতারকদের বেতনভুক্ত বেশকিছু স্টাফের সহায়তায় ১৬৪, পশ্চিম আগারগাঁও হোল্ডিংসের মিসেস আক্তারজাহানের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখিয়ে নেন তারই দুই ছেলে। এক্ষেত্রে কৌশলে বঞ্চিত করা হয় তার দুই মেয়েকে।’
পরে সে সংবাদটি আদালতের নজরে আনেন আনেন ব্যুরো অব হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাভোকেট ড. মো. শাহজাহান। সে প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে স্ব-প্রণোদিত হয়ে আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।