মেট্রোরেলের লাইন বসানোর কাজের উদ্বোধন সেতুমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২০, ১১:০৮
ছবি: সংগৃহীত
বছরের প্রথম দিন দেশের প্রথম মেট্রোরেলের লাইন ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেম ও রেললাইন বসানোর কাজের উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপোতে এ কাজের ফলক উন্মোচন করেন তিনি।
এসময় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ক্যালেন্ডারেরও উদ্বোধন করা হয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এখানে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। বাইরে থেকে বোঝা যায় না। ইতোমধ্যে সাড়ে আট কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়ে গেছে। মোট ৫২টি স্থাপনা এই ডিপোতেই দৃশ্যমান। নববর্ষে আপনাদের সবাইকে নিয়ে নবতর যাত্রা শুরু করলাম।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড দেশের প্রথম এই মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার এই মেট্রোরেল মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। ফলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সহজেই লোকজন যাতায়াত করতে পারবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এরই মধ্যেই দিয়াবাড়ি এলাকায় লাইন বসানোর আগে ফাস্টেনিং সিস্টেম বা স্ক্রু লাগানো শেষ হয়েছে। এছাড়া মেট্রো ট্রেন যাবার সময় ট্র্যাকে ঘর্ষণের শব্দ নিয়ন্ত্রণে রাবারের প্যাড লাগানোর কাজও শেষ হয়েছে উত্তরা অংশে।
মেট্রোরেলের লাইন বসানোর সঙ্গে সঙ্গে বসানো হবে ইলেকট্রিক লাইনও। উত্তরা-আগারগাঁও অংশে মেশিনের মাধ্যমে এগুলো বসাতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে।
প্রকল্পের তথ্যানুযায়ী উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে। উত্তরার দিয়াবাড়িতে হবে মেট্রোরেলের প্রথম স্টেশন। প্রথম স্টেশনের নাম হবে উত্তরা নর্থ; এর পরের স্টেশনগুলো হলো- উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয় ও মতিঝিল।
এদিকে আগামী বছরের জুনে দেশে মেট্রোরেলের প্রথম পরিপূর্ণ ট্রেন সেট আসবে বলে জানা গেছে। এভাবে ওই সময় থেকে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে ২৪টি ট্রেন সেট আসবে। একেকটি সেটে ছয়টি করে কোচ থাকবে। এই রেলের ট্রেনগুলো উভয়দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী টানবে।
মেট্রোরেলে প্রতিটি স্টেশন হবে তিনতলা। সিঁড়ি বেয়ে প্রথমে উঠতে হবে দ্বিতীয় তলায়। সেখানে টিকেট কাউন্টার ও অন্যান্য সুবিধাদি থাকবে। আর ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম থাকবে তৃতীয় তলায়।
ট্রেনে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৪০ মিনিটের কম। মেট্রোরেলে ‘প্রিপেইড কার্ড’ দিয়ে ট্রেনের ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। আবার টিকিট কেটেও থাকবে ভ্রমণের সুযোগ।
এসময় সেতু সচিব নজরুল ইসলাম, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।