সোনা চোরাচালান
সোনা চোরাচালান: বিমানের দুই কর্মীর ১২ বছরের দণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৫২

ফাইল ছবি
সোনা চোরাচালানের একটি মামলায় বিমানের দুই কর্মচারীসহ চারজনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস সশ্রম কারাভোগের আদেশ হয়েছে।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিলকিছ আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমান ফ্লাইট ক্যাটরিং সেন্টারের (বিএফসিসি) পেন্ট্রিম্যান খন্দকার রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলাম এবং সোনা চোরাচালান চক্রের সদস্য ইফতারুল আলম সরকার ও রিয়াজ ওরফে আমজাদ।
রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা দুই আসামি রুহুল আমিন এবং শাহিনুর ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর দুই আসামি জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণা শেষে চার আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি বিমানের টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯ কেজি ২৮০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করে ঢাকা কাস্টমস হাউস। তখন এর বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এ ঘটনায় রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলামকে আটক করা হয়। পরে কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রিভে.) এম এস রিমন আল-রাফি বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলাম ডিউটিরত অবস্থায় বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনসের জেদ্দা-সিলেট হয়ে ঢাকাগামী বিজি ২৩৬ এ ক্যাটরিং এর কাজের উদ্দেশ্যে বিমানের ভেতরে প্রবেশ করে। টয়লেটের মধ্যে টিস্যু বক্সে রক্ষিত কালো স্কচটেপ মোড়ানো চারটি রোল থেকে তারা দুইটি করে জামার মধ্যে লুকিয়ে বিমান থেকে বের হয়ে খাবারের ট্রেতে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে কাস্টম কর্তৃপক্ষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্বর্ণ উদ্ধার করে।
২০১৯ সালের ৮ জুলাই চারজনকে অভিযুক্ত চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলায় ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।