Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে বেড়েই চলেছে শিশু রোগী

Icon

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ২০:৩৫

লক্ষ্মীপুরে বেড়েই চলেছে শিশু রোগী

শিশু রোগী

শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় লক্ষ্মীপুরে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। রোগীর চাপ বাড়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 

গত এক সপ্তাহে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রায় এক হাজারেরও বেশি শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিন হাসপাতালে গড়ে ভর্তি হচ্ছে প্রায় একশ শিশু। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর চিত্রও একই।

লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, আউটডোরে শিশু রোগীর চাপ চোখে পড়ার মতো। বেশিরভাগ রোগীই ছিলো ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। এদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাই বেশি। 

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বড়ালিয়া গ্রামের সাহাব উদ্দিন জানান, তার ছয় বছরের ছেলে দুইদিন ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। চিকিৎসা নিতে সদর হাসপাতালে এসেছেন। কিন্তু হাসপাতালে রোগী আর স্বজনদের চাপে পা ফেলার মতো অবস্থা নাই। তবু দুই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছেন ছেলের চিকিৎসার জন্য।

এসময় ওই হাসপাতালে আগত একাধিক সেবা গ্রহীতারা জানান, ঠান্ডা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। গেলো দুইদিন ধরে হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে হাসপাতালে কোন শয্যা খালি না থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে। 

শিশু ওয়ার্ডগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি বেডে তিন থেকে চার শিশুকে ভর্তি দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অনেককেই মেঝেতে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এতে করে শিশুরা পড়ছে আরো ভোগান্তিতে। 

জেলা বেসরকারি প্যাথলজি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, প্রতি বেডে এক শিশু চিকিৎসা নেয়ার কথা থাকলেও প্রতি বেডে চিকিৎসা নিচ্ছে তিন শিশু। এছাড়া বেড না থাকায় হাসপাতালের বারান্দায় গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন  শিশু। বেডের তুলনায় রোগী ভর্তি হচ্ছে ১০গুন বেশি। 

সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ইছমাইল হাসান জানান, ঠান্ডার কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েই চলছে। এটি সামনে আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। এসময় শিশুদের গরম কাপড় পরিধান ও হালকা গরম পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।

সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফ্ফার জানালেন, প্রতিদিন আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছে ৭/৮শ রোগী। এর মধ্যে বেশিরভাগই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু। জেলা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ১৫টি বেড থাকলেও চিকিৎসকরা তাদের সাধ্যমত চিকিৎসা দিচ্ছে বলে জানালেন তিনি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫