আইপিটিভি-ইউটিউবে সংবাদ প্রচার করা যাবে না : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:১৯

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইন্টারনেট প্রোটোকল টেলিভিশন (আইপিটিভি) ও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে কেউ সংবাদ প্রচার করতে পারবে না।
তিনি বলেন, সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী কোনও আইপিটিভি বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে কেউ সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না। এটি আমাদের সম্প্রচার নীতিমালা বিরোধী। যে সম্প্রচার নীতিমালা আমাদের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু দেখা যায় আইপিটিভির মাধ্যমে এখনো কোনও কোনও জায়গায় সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। সেখানে নিয়মিত সংবাদ বুলেটিন পরিবেশন করা হয়। ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমেও সংবাদ বুলেটিন প্রচার করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে নজর রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা হচ্ছেন, মাঠ প্রশাসনের প্রাণ। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমেই সরকারি সিদ্ধান্তগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। এজন্য জেলা প্রশাসক সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, যে সেশনটি একটু আগে শেষ করলাম, সেখানে যে বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে, তার মধ্যে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন, দেশে প্রায় ৯ কোটি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, সেটি প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া যেমন প্রচারের বড় ক্ষেত্র, তেমনি অপপ্রচার বা গুজব রটানোরও ক্ষেত্র উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, গত ৭-৮ বছরের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাবে, দেশে যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে, গুজব রটেছে, রটানো হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, তার সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে করানো হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকদের কাছে আমরা সেই বিষয়টি তুলে ধরেছি। অনেক সময় দেখা যায়, বিভ্রান্তিমূলক নানান খবর ছড়ানো হয়। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেশে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা হয়। সেই বিষয়গুলো ডিসিদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তারা যেন এসব বিষয়ে তৎপর থাকেন এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
আইপিটিভি-ইউটিউবে সংবাদ প্রচারের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকদের কাছে সেসব কথা বলেছি। অনেকগুলো আইপিটিভি দেখা যায় যে স্থানীয় অনেক জনপ্রিয় মানুষ তাদের চিনে এবং তারা নিয়মিত খবর প্রচার করছে। তারাতো সেটা পারে না। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি যেটি সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী তারা পারেন না তারা যেন এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
জেলা প্রশাসকদের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছরের অক্টোবর থেকে ক্লিনফিড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা যেভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি। এখনও তাদের এ বিষয়ে নজর রাখতে বলেছি।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে ক্যাবল নেটওয়ার্ক যারা পরিচালনা করে তারা যেন কোনোভাবে স্থানীয় চ্যানেল হিসেবে টেলিভিশনে কোনো অনুষ্ঠান ও বিজ্ঞাপন প্রচার না করে। সেসব বিষয় যেন জেলা প্রশাসকরা নজরে রাখেন।