জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়, জলদস্যু প্রধানসহ আটক ১৫

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৫৭

জলদস্যু বাহিনীর আটক সদস্যরা। ছবি : ইউএনবি
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা ও কক্সবাজারের পেকুয়া কুতুবদিয়া থেকে অভিযান চালিয়ে জলদস্যু বাহিনীর প্রধান নূরুল কবীর ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড মামুনসহ ১৩ জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করা এবং মুক্তিপণ না পেলে জেলেদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো এ বাহিনী।
আটকরা হলেন- নুরুল আফসার, নূরুল কাদের, হাসান, মো. মামুন, নুরুল কবির, আব্দুল হামিদ, আবু বক্কর, মো. ইউসুফ, গিয়াস উদ্দিন, সফিউল আলম মানিক, আব্দুল খালেক, রুবেল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম জিকু, মো. সুলতান ও মনজুর আলম।
গতকাল শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও র্যাব ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার ও শনিবার চটগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জলদস্যূ নুরুল আফসার, নূরুল কাদের, হাসান, মো. মামুনকে আটক করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়া থানার ডান্ডিবাজার এলাকায় থেকে জলদস্যু বাহিনী প্রধান কবীরের আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। এসময় আরও ১১ জনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ছয়টি ওয়ানশুটার গান, চারটি কার্তুজ, পাঁচটি কিরিচ, একটি ছুরি, একটি রামদা, দুটি হাসুয়া জব্দ করা হয়।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি ১৭ জন জেলে মাছ ধরার জন্য সাগরে গেলে জলদস্যু কবির বাহিনীর কবলে পড়ে। মাছ ধরার বোটসহ তাদেরকে অপহরণ করে কবির বাহিনী। এরপর জেলেদেরকে জিম্মি করে মারধর করে ও নির্যাতন চালায়। বোট মালিকের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। পরবর্তীতে মালিক ২ লাখ টাকা দিলে জেলেদের ধরা ২ হাজার ইলিশ মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, জেলেদের জিম্মি করার তথ্যটি র্যাব-৮ জানতে পারে। পরে আমরা সম্মিলিতভাবে সমুদ্রে অভিযান পরিচালনা করি। আমাদের অভিযানের কথা জানতে পেরে ১৭ জানুয়ারি জলদস্যুরা ১৬ জনকে ছেড়ে দেয়। তারা তীরে আসার পর আনোয়ার নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পারি। তারাই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার জলদস্যুদের আটক করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, নিরীহ জেলেদের অপহরণ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়েছে জলদস্যুরা। র্যাব এমন তথ্যের ভিত্তিতি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং কবীর বাহিনীর প্রধান ও সেকেন্ড ইন কমান্ড মামুনসহ ১৫ জনকে আটক করা হয়। -ইউএনবি