নরসিংদীতে স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৪১

প্রতীকী ছবি
নরসিংদীতে নেশা করতে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে স্বামী।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার হাজিপুরের চকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত সুবর্না আক্তার (২১) হাজীপুর এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে। গ্রেফতারকৃত সোহেল মিয়া স্থানীয় বাজারে হলুদ মরিচের দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রায় ৩ বছর আগে সুবর্না আক্তারের সাথে সোহেল মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই যৌতুক ও নেশার টাকা যোগার করে দেয়ার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করতো সে। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। এরই জের ধরে সুবর্না কয়েক দফায় বাপের বাড়ি চলে যায়। সর্বশেষ গত শুক্রবার দুপুরে সুবর্নাকে তার বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসে স্বামী সোহেল মিয়া। কিন্তু দিন পার হতে না হতেই পুনরায় ঝগড়া শুরু হয়। রাত ২টার দিকে স্বামী সোহেল মিয়াকে নেশা করতে বাধা দেয় তার স্ত্রী।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সোহেল মিয়া হাতুড়ি ও সেলাই র্যাঞ্জ দিয়ে তার স্ত্রী মাথায় ও মুখমন্ডলে এলোপাথাড়ি পিটাতে থাকে। এর এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে তার পেটে আঘাত করে। পরে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় সুবর্নাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। এদিকে খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ নিহতের স্বামী সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।
নিহতের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, জামাই নেশাগ্রস্ত ছিলো সেটা আমরা জানতাম না। দুইদিন পর পর সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকতো। পরে মিলিয়ে দিতাম। বিয়ের পর থেকে এভাবেই চলছিলো।
নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যের কারণ জানতে অনুসন্ধান চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হতো না।