
পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ছয়জন
রাজধানীতে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় আরও ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ছয়জন হলেন মুজিব, রাসেল, নাঈম, রফিক, আলমগীর ও মহিবুল।
ডিবির তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদাত হোসেন সুমা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাসে ডাকাতির ঘটনায় আগে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার আরও ছয়জনকে গ্রেফতার করেছি। তারা একই চক্রের সদস্য।’
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২০ জানুয়ারি ডাকাত দলের সদস্যরা আমিনবাজার থেকে আর.কে.আর পরিবহনের একটি বাস ভাড়ার কথা বলে সাভারের গেন্ডা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে তারা প্রথমে বাসের চালক ও হেলপারকে জিম্মি করে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে বাসটি নিয়ে ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন সড়কে ঘুরতে থাকে।
টার্গেট করে যাত্রী উঠিয়ে পরবর্তীতে অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে এই চক্র। এরপর হাত-মুখ বেঁধে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাদের নির্জন স্থানে নামিয়ে দেয় তারা।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিকুল ইসলাম সজীবও ছিলেন। তিনি প্রাণে বেঁচে ফিরলেও চোখ বেঁধে রাতভর তাকে বেদম পেটান ডাকাত দলের সদস্যরা।
এ ঘটনার পর তিনি থানায় গিয়ে মামলা করতে না পেরে ফেসবুকে একপি পোস্ট দেন। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর আইজিপির নির্দেশে মামলার তদন্তে নামে ঢাকা মেহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
বাস ভাড়া করে ডাকাতির ঘটনায় ৩০ জানুয়ারি রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে আটজনকে গ্রেফতার করে ডিবির তেজগাঁও বিভাগ। তারা হলেন নাঈমুর রহমান নাঈম, আবু জাফর বিপ্লব, সজিব মিয়া, জহুরুল ইসলাম, আলামিন, দিলিপ সোহেল, আলামিন ও শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া আজাদ।
এই আটজনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। গ্রেফতার ব্যক্তিরা একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। তারা ডাকাতিতে জড়িত আরও ছয়জনের নাম জানান।