Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:৪৫

দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি

দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, এর মধ্যে ১০ কোটি টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের টার্গেট জনগণ ১২ কোটির মধ্যে ৭৫ শতাংশ টিকার আওতায় চলে আসছে। বাকি লোকদের মধ্যে ভাসমান জনগোষ্ঠী, পরিবহন শ্রমিকদের টিকা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

দেশের ক্যান্সার রোগী সম্পর্কে জাহিদ মালেক বলেন, মানুষের জীবনযাত্রা পরিবর্তন হওয়ার কারণে ক্যান্সার আক্রান্তের হার বাড়ছে। দেশে বর্তমানে ২০ লাখের মতো ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষ  রয়েছে। প্রতি বছর দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। এক লাখ মানুষ প্রতি বছর এই রোগে মারা যাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের জনগণ অন্যান্য দেশের মতো না মন্তব্য করে জাহিদ মালেক বলেন, অনেকের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা ইচ্ছা করেই টিকা নিচ্ছেন না, তবে আমি বলতে চাই আমাদের দেশের মানুষের টিকা নেয়ার প্রবণতা রয়েছে। ইউরোপে দেখলাম টিকা নেয়ার জন্য আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে; রাস্তা-ঘাটে মারপিট করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ডস, আমেরিকাতেও এমন পরিস্থিতির দেখা গেছে, তবে বাংলাদেশে এখনও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

টিকা মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়ে দিচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যু কম হওয়ার কারণ হলো আমাদের একটি বড় জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এ কারণে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও কম।

তিনি আরও  বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তবে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। গোটা দেশ মিলিয়ে এক থেকে দেড় হাজার করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি। দেশের ৭৫ শতাংশ বেড এখনও খালি রয়েছে। তাই সবাইকে অনুরোধ করব, যারা এখনও টিকা নেননি তারা টিকা নিয়ে নিন।

ক্যান্সার সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যান্সার কেন হয় এটা আমাদের জানতে হবে। প্রাথমিক পযার্য়ে ক্যান্সার শনাক্ত হলে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। তাই প্রথামিক পযার্য়ে যাতে ক্যান্সার শনাক্ত হয় সেজন্য ক্যান্সার সেবার পরিধি বাড়নো হচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ঢাকার মানুষ ক্যান্সার চিকিৎসক পাবে এমন না। গ্রামের মানুষের ক্যান্সার চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য আট বিভাগের আটটি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরিতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কাজের অনুমোদন দিয়েছেন। হাসপাতালগুলোর উপর চাপ কমাতে স্বাস্থ্যসেবাকে বিকেন্দ্রীকরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এটা হলে মানুষের চিকিৎসা নিতে ঢাকায় আসার প্রয়োজন হবে না।  চিকিৎসা ব্যয় অনেক কমে আসবে। এর মাধ্যমে ঢাকার হাসপাতালগুলো চাপ কমে আসবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খোরশীদ আলম,  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক  আহমেদুল কবীর উপস্থিত ছিলেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫