বরগুনার আমতলীতে নির্মাণের এক বছরের মাথায়ই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধসে পড়েছে। এতে জলোচ্ছ্বাসের হুমকিতে পড়েছে উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের সাত গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। দ্রুত ধসে পড়া বাঁধ সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর। 

জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের মধ্য সোনাখালী গ্রামের আবুল মেম্বারের বাজার সংলগ্ন তাফালবাড়িয়া নদী। ২০২০ সালে ওই নদীর প্রবল স্রোতে বাজার সংলগ্ন ১৩০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। এতে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখালী, উত্তর সোনাখালী, পশ্চিম সোনাখালী, পূর্ব সোনাখালী, আলগী, গোডাঙ্গা ও আঠারোগাছিয়া গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে জানমাল ও জমির ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েন ওই সকল গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ। 

ভাঙন রোধে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০২১ সালে জরুরি প্রকল্পের অধীনে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। গত বছর নভেম্বর মাসে প্রায়২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩০ মিটার বাঁধ নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান করে পাউবো। ওই কাজ পায় পটুয়াখালীর আজাদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার স্বপন মৃধা বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। অনিয়মের কারণে এক বছরের মাথায় বাঁধ নদীতে ধসে পড়েছে। প্রাকৃতিক জলোচ্ছ্বাস হলে ওই বাঁধ পুরোপুরি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসী। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের একটি অংশ ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা বলেন, জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করলে সাতটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। বর্ষা মৌসুম আসার আগেই টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা জরুরি। স্থানীয় নান্নু প্যাদা ও মনির বলেন, বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের কারণে এক বছরের মাথায় বাঁধ ধসে পড়েছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হবে। দ্রুত বাঁধ সংস্কারের দাবি জানান তারা। 

আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, বর্ষার মৌসুম আসার আগেই বাঁধ সংস্কার করা প্রয়োজন। না হলে জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করলে ইউনিয়নের অন্তত ২০ হাজার মানুষ ও ফসলের ক্ষতি হবে। 

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলৗ মো. কাউছার আলম বলেন, দ্রুত সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।