Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে খাল খনন প্রকল্পে বাধা প্রদানের অভিযোগ

Icon

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:২৬

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে খাল খনন প্রকল্পে বাধা প্রদানের অভিযোগ

খাল খনন প্রকল্প

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সরকারি খাল খনন কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে খোদ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এতে জনস্বার্থে গৃহীত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ও উপকারভোগিরা গণধোলাই দিয়েছে তিতপল্ল‍া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মিলন মিয়াকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ও মহাদান ইউনিয়ন এবং জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে হাসরা বিল থেকে বামনজি বিল পর্যন্ত প্রায় ৪ কি.মি. খাল খনন প্রকল্প হাতে নেয় এলজিইডি। ২০২১-২২ অর্থবছরের অধীন 'জামালপুর ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)'' নামের এ প্রকল্প স্থানীয় হাসরা বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতিকে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয় কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি ওই সমিতি খাল খননের কাজ শুরু করে। তিতপল্ল‍া ইউনিয়ন অংশের কাজ করতে গেলে ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মিলন মিয়া ব্যক্তিগত স্বার্থে খনন কাজে বাধা দেয়। এ নিয়ে কয়েকদিন যাবত দেন-দরবার চলে আসছে। গত রবিবার দুপুরে মেম্বার মিলন মিয়া প্রকল্প এলাকায় গিয়ে খাল খনন বন্ধ করতে বলেন। তার কথা অমান্য করে খনন অব্যাহত থাকলে লোকজন পাঠিয়ে তিনি কাজ বন্ধ করে দেন।

এব্যাপারে হাসরা বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ইউপি সদস্য মিলন মিয়া বারবার প্রকল্প কাজে বাধা দেয় এবং সমঝোতার কথা বলে টাকা দাবি করে আসছেন। রবিবার রাতে তিনি প্রকল্প এলাকায় গিয়ে খনন কাজে নিয়োজিত এসকেভেটর (ভেকু) মেশিন বন্ধ করার হুমকি দিলে উত্তেজিত জনতা ও উপকারভোগিরা ইউপি সদস্য মিলন মিয়াকে গণধোলাই দেয়।

এব্যাপারে ইউপি সদস্য মিলন মিয়া বলেন, আমি ভেকু মেশিনে কাজ করার কথা জানতে পেরে সশরীরে প্রকল্প এলাকায় যাই। কাজ বন্ধ করে সমঝোতার মাধ্যমে শুরু করার অনুরোধ জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারপিট করে।

এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী (প্রকল্পের তত্ত্বাবধানকারী) শাকিল আহমেদ বলেন, কৃষিখাতকে আরো গতিশীল করার জন্য নদী-খাল খননের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এর অংশ হিসেবে হাসরা বিল থেকে বামনজি বিল পর্যন্ত প্রায় ৪ কি.মি. খাল পুনঃখননের প্রকল্প শুরু হয়। এটি বাস্তবায়ন হলে এক ফসলী জমিগুলো তিন ফসল ফলানো সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে সরকারি কাজে কেউ বাধা দিতে পারে না।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫