ভবন নির্মাণে সিটি করপোরেশনের অনুমোদন নিতে হলে ভোগান্তি বাড়বে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১:২৯

সংবাদ সম্মেলন
রাজধানীতে ভবনসহ যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন থেকে অনুমোদন নেয়ার সিদ্ধান্ত বিনিয়োগবান্ধব নয়, এতে দ্বৈত প্রশাসনের সৃষ্টি হবে এবং জনগণের ভোগান্তি বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রিহ্যাব সভাপতি শামসুল আলামিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি কামাল মাহমুদ, সোহেল রানা প্রমুখ।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি এক সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণে রাজউকের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনেরও অনুমোদন নিতে হবে। শুধু অনুমোদন দিলেই হবে না, সিটি করপোরেশনকে অনুমোদন করা স্থাপনা নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থাও রাখতে হবে। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই শনিবার এই সংবাদ সম্মেলন করেন রিহ্যাব নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে অনুমোদন নেয়ার বিষয়টি আবাসন ব্যবসায়ী এবং যারা ব্যক্তিগত ভবন তৈরি করবেন, তাদের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে, তা হবে অপরিণামদর্শী। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দুটো প্রশাসনকে একটি কাজের দায়িত্ব দিলে জনগণের ভোগান্তি বাড়বে। ফাইল ছোড়াছুড়ির নতুন একটি ক্ষেত্র তৈরি হবে। এমনিতে ভবনের নকশা পাস করতে গেলে রাজউকেই মানুষকে হয়রানি পোহাতে হয়। সেখানে নতুন এ সিদ্ধান্ত কাজের ভোগান্তি, বিড়ম্বনা, দীর্ঘসূত্রতা ও ব্যয়- সবই বাড়াবে। এ জন্য রাজউক, না হয় সিটি করপোরেশন, যেকোনো একটি সংস্থা এই কাজ করুক।
রিহ্যাব সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেখানে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, সেখানে নতুন এই নিয়ম গৃহায়ণশিল্পের জন্য গভীর সংকট তৈরি করবে। দ্বৈত অনুমোদনের এমন সিদ্ধান্ত ব্যবসাবান্ধব নয়।
তিনি আরো বলেন, সিটি করপোরেশনের প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণার শেষ নেই। জন্মসনদ জটিলতাসহ সারা বছর মশা ও ডেঙ্গু লেগেই থাকে। সিটি করপোরেশনে এ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও কাঠামো নেই। এখন ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দায়িত্ব তাদের দিলে সেখানেও হয়রানির নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।