কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর। ফাইল ছবি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও হাঙ্গেরিভিত্তিক উদ্যোক্তার জুলকারনাইন সায়েক খান ওরফে সামিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে তাদের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
আজ রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন।
একইসঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।
পরপর দুটি শুনানির তারিখে অনুপস্থিত থাকায় ট্রাইব্যুনাল কিশোরের জামিন বাতিল করেন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
বাকি পাঁচজন হলেন সুইডেনপ্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ।
মিনহাজ ও দিদারুল জামিনে আছেন। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ পড়ে শোনালে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। কিশোরসহ বাকি পাঁচজন বর্তমানে পলাতক। এদিন মিনহাজ ও দিদারুল অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পৃথক আবেদন করেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আবেদন খারিজ করে দেন।
গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর কিশোরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপপরিদর্শক মো. আফছার আহমেদ ১৩ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন।
২০২০ সালের ৬ মে র্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক ১১ জনকে আসামি করে রমনা থাকায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছিলেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়।
আসামিদের মধ্যে গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি অবস্থায় মুশতাক আহমেদ মারা যান।