সিরাজগঞ্জে আ. লীগের নতুন সভাপতি হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সামাদ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:৩৪

ছবির ডান দিকে, নবনির্বাচিত সিরাজগঞ্জ জেলা আ. লীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান ও বাম দিকে সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
সিরাজগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে দীর্ঘ ৭ বছর পর এই জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কেম এম হোসেন আলী হাসান, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান ও অ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, কেন্দ্রিয় মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ড. জান্নাত আরা হেনরী তালুকদার, কেন্দ্রিয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শামসুজ্জামান আলো, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ফারুক ও কামারখন্দ থানা আওয়ামী লীগের নেতা অধ্যাপক রেজাউল করিম রাজা।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডা. হাসান মাহমুদ। ভার্চুয়াল ভাবে সম্মেলনে যোগ দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) এস এম কামাল।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য বেগম আখতার জাহান, সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে মেয়াদ উত্তীর্ণ এলাকায় সম্মেলন সম্পন্ন করব। আগামী নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আগামী নির্বাচনে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে ও যোগ্য নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, সুসময়ের কর্মীরা দলের বন্ধু না, দুঃসময়ে যারা দলের পাশে থাকে তারাই প্রকৃত বন্ধু।