‘নাবিকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২২, ১৫:৪৫

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ইউক্রেনে আটকে পড়া জাহাজের নাবিকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন সবচেয়ে বড় কথা, যে নাবিকরা আছেন তাদের নিরাপত্তা আমাদের ফাস্ট প্রায়োরিটি। ইতিমধ্যে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী অবিহত হয়েছেন। তিনি এ বিষয়টি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্য যেসব উইংস আছে তাদেরও নির্দেশনা দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের পোল্যান্ডের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। সচিবের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ওনার কথা হয়েছে। জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন। তারাও চাচ্ছেন, তাদের নিরাপত্তাটা নিশ্চিত হোক। নাবিকরা যদি জাহাজ থেকে নেমে যান, তবে নিরাপত্তা ঝুঁকি আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি, আরও নিরাপদ রাস্তা বের করতে পারি কি না। কূটনৈতিক পর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছি। হয়তো দ্রুত তাদের সেখান থেকে নিয়ে আসতে পারবো।
এর আগে গতকাল বুধবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায়) বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলা হয়। এতে প্রাণ হারান জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান আরিফ।
এদিকে জাহাজটিতে নাবিক ও ইঞ্জিনিয়ারসহ এখনও ২৮ জন অবস্থান করছেন। জাহাজে রকেট হামলার পর নাবিকরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জীবন বাঁচানোর জন্য তারা সরকারের কাছে আকুতি জানিয়েছেন।
এদিকে জাহাজটির সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আউয়াল এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘আমাদের জাহাজে রকেট হামলা হয়েছে। একজন মারা গেছেন। আমাদের জাহাজে পাওয়ার সাপ্লাই নেই। ইমার্জেন্সি পাওয়ার সাপ্লাইয়ে আমরা চলছি। আমরাও সবাই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছি। দয়া করে আমাদের বাঁচান।’
‘বাংলার সমৃদ্ধি’ নামের এই জাহাজটি ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেখানে আটকে পড়ে। এ জাহাজটির মালিক বাংলাদেশ শিপিং করোরেশন।
গত ২৬ জানুয়ারি এটি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে যাত্রা করে এবং তুরস্কের ইরেগলি হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছায়। জাহাজটি বন্দরে পৌঁছানোর পরদিন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হয়। ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে তাদের ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল।