Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জে মিষ্টি কুমড়া চাষে সাফল্য

Icon

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২২, ১৭:০৬

মানিকগঞ্জে মিষ্টি কুমড়া চাষে সাফল্য

মিষ্টি কুমড়া হাতে নিজ জমিতে এক চাষি। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

মানিকগঞ্জে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ। এ সবজি আবাদ করতে সময় ও শ্রম দুটোই কম লাগে। একই সাথে খরচের তুলনায় অধিক লাভ হয়। এ কারণে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন স্থানীয় চাষিরা। ভালো ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।

ঘিওর উপজেলায় উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।

শীতকালীন ফসলের জন্য এ সবজির বীজ বপনের সময় অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এবং গ্রীষ্মকালীন ফসলের জন্য ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস।

মৌসুমভিত্তিক ফসল চাষের জন্য কৃষি অফিস থেকে কীটনাশকমুক্ত সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে চাষিদের। ফলে প্রতি বছরই মিষ্টি কুমড়ার আবাদ বাড়ছে।

এলাকার বেশিরভাগ ধান চাষের উপর নির্ভরশীল কৃষিজমিতে এ বছর মিষ্টি কুমড়া চাষ করা হয়। এতে চাষিদের মাঝে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়েছে। এই উপজেলার উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া দেশের বাইরেও রপ্তানি করা হচ্ছে।

ঘিওর উপজেলার বাইলজুরী গ্রামের চান মোল্লা বলেন, তিনি দুই বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করেছেন। চাষাবাদ, সার, ওষুধ ও অন্যান্য খরচাদি মিলিয়ে তার বিঘা প্রতি প্রায় ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘায় প্রায় ১০০ থেকে ১২০ মণের মতো মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন হয়ে থাকে। পাইকার বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়ার বিক্রয়মূল্য আট থেকে দশ টাকা। আর খুচরা বাজারে প্রতিটি কুমড়ার বিক্রয়মূল্য ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

বাইলজুরী গ্রামের মো. আবুল হোসেন বলেন, মিষ্টি কুমড়ার বেচাকেনায় সরকার নজরদারি বাড়ালে চাষিরা আরো বেশি ন্যায্য দাম পেতেন। সেক্ষেত্রে চাষিরা আরো বেশি লাভবান হতেন।

ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন, ভালো ফলন হওয়ায় এ এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে চাষিরা মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করে আসছেন। মৌসুমভিত্তিক যেকোনো ফসল চাষের জন্য কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে চাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ফলে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনেও ব্যাপক সাড়া পড়ছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫