বিদেশের মাটিতে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করবে না চীন : রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২২, ১৬:১৫

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশসহ অন্য দেশে কোনো সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করবে না চীন।
বাংলাদেশে মিসাইল তৈরির কারখানা তৈরি করছে চীন, উদ্বিগ্ন ভারত’ জাপানি সংবাদমাধ্যম ‘নিক্কেই এশিয়া’য় প্রকাশিত এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমরা এটুকু বলতে চাই বাংলাদেশসহ কোনো দেশে চীনের মিলিটারি স্থাপনা নেই। যদি কিছু থাকে সেটি হচ্ছে মেরামত করার জন্য ফ্যাক্টরি এবং সেটিও বাংলাদেশের সরকারের প্রয়োজন অনুযায়ী। তবে আমি নিশ্চিত করে এখন কিছু বলতে পারছি না। আমি বেইজিংয়ের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাইব।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে বাংলাদেশকে যে সারফেস টু এয়ার মিসাইল দিয়েছে, তা রক্ষণাবেক্ষণে চীন এমন ব্যবস্থা তৈরি করছে, যাকে ‘হাব’ হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
কোয়াড প্রসঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমার মনে হয় না বাংলাদেশ কোয়াডে যোগ দেবে, এর সামান্যতম সম্ভাবনাও আছে। কারণ বাংলাদেশ সরকার পরিষ্কারভাবে বলেছে তারা এমন কোনো গ্রুপে যোগ দেবে না—যেটি সামরিক বা নিরাপত্তা সংক্রান্ত। কিন্তু আমরা সবাই জানি—কোয়াড হচ্ছে সামরিক বা নিরাপত্তা সংক্রান্ত গ্রুপ।
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সমন্বয়ে কোয়াড গঠিত হয়েছে।
চীন রাশিয়ার পক্ষ নিচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে বিষয়টি ঠিক নয়, রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ই আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধে চীন রাশিয়ার পক্ষ নিচ্ছে না, বরং বেইজিং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের বক্তব্য উল্লেখ করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, এ ইস্যুতে বাংলাদেশ শান্তি চায় এবং চীনও ঠিক একই বিষয় চায়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন সহায়তা করছে জানিয়ে লি জিমিং বলেন, কিছু অগ্রগতি হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। আমরা আশা করি এবছর বড় একটি কিছু হবে। এর আগে দুইবার প্রত্যাবাসন চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা ঠিক করেছি দৃঢ় কোনো পদক্ষেপ না হলে আমরা কোনো তথ্য প্রকাশ করব না।
আজ রবিবার (১৩ মার্চ) চীনের দূতাবাস আয়োজিত প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘স্প্রিং ডায়লগ উইথ চায়না’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক ইনাম আহমেদ।
এসময় বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, অবকাঠামো, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কোয়াড, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল ও তাইওয়ান পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাষ্ট্রদূত কথা বলেন।